অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে নর্থ সাউথ ছাত্রকে নির্যাতন, সারা শরীরে ক্ষত
অজ্ঞাত জায়গায় এক মাস আটকে রেখে অপহরণকারীরা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাব্বী হোসেন শুভর ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। রবিবার (১৮ এপ্রিল) তাকে নিয়ে বিচারের দাবিতে পরিবারের সদস্যরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আসেন।
শুভের হাতে, কাঁধের নিচে, বুকে ধারালো অস্ত্রের পোঁচ। হাঁ হয়ে থাকা ক্ষততে সেলাই পড়েছে সদ্য। তার বাবা মো. আলী ও মা জেমি পারভিন ছেলের ওপর ঘটে যাওয়া এই অকথ্য নির্যাতনের বিচার চান।
এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে এই দম্পতি থাকেন ধানমন্ডিতে। তাদের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। মো. আলী পেশায় একজন ব্যবসায়ী, জেমি গান করেন। রাব্বী রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল থেকে এসএসসির পর বিএএফ শাহীন কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে পড়েছেন।
শুভর বাবা মো. আলী বলেন, গত ২০ মার্চ রাতে ছেলে মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে বাইরে বেরিয়েছিলেন। তারপর থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত রাব্বী নিখোঁজ ছিলেন। কোথাও তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যার পর রামপুরা থানার এক উপ-পরিদর্শক তাকে ফোন করে জানান, রাব্বীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় একটা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি যেন দ্রুত ওই ক্লিনিকে চলে যান। সেখানে যাওয়ার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে ছেলেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান মো. আলী। ক্ষততে সেলাইয়ের পর ছেলেকে নিয়ে তাঁরা তাঁদের ধানমন্ডির বাসায় চলে যান।
রাব্বী বলেন, অপহরণকারীরা তাকে একটি ঘরে আটকে রেখেছিল। অনেকবার তারা তার শরীরে ইনজেকশন দিয়েছে। একপর্যায়ে তারা তার চুল কেটে দেয়। শরীরের নানা জায়গায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে পোঁচ দিয়েও ক্ষান্ত হয়নি তারা। ক্ষতে লবণ ছিটিয়ে দেয়। অপহরণকারীদের কেউ কেউ তাকে খুনের পরিকল্পনাও করছিল।
রাব্বী নিখোঁজ হওয়ার পর মো. আলী ধানমন্ডি মডেল থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় তিনি সন্দেহভাজন পাঁচজন অপহরণকারীর নাম উল্লেখ করেন। ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া বলেন, অপহরণের মামলাটি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।