উপাচার্য নিয়োগে গবি শিক্ষার্থীদের ৯ দিনের আল্টিমেটাম
- গবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২১, ০৪:৫৪ PM , আপডেট: ২২ মার্চ ২০২১, ০৪:৫৪ PM
রাষ্ট্রপতি ও ইউজিসি কর্তৃক স্বীকৃত উপাচার্য নিয়োগে ট্রাস্টি বোর্ডকে ৯ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) শিক্ষার্থীরা। একই সাথে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সকল প্রকার লেনদেন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে তারা।
সোমবার (২২ মার্চ) বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর সংবলিত এক স্মারকলিপির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ এ পদক্ষেপে বাধা প্রদানকারী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ারও হুশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
স্মারকলিপিতে ট্রাস্টি বোর্ডকে আগামী ২৩ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে উপাচার্য নিয়োগের অগ্রগতি লিখিত আকারে শিক্ষার্থীদের কাছে উপস্থাপন করার দাবি জানানো হয়েছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে ট্রাস্টি বোর্ড ও বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) ডা. লায়লা পারভীন বানুর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা ও রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারক লিপি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। যতদিন পর্যন্ত উপাচার্য সমস্যার স্থায়ী সমাধান না হবে ততদিন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে শিক্ষার্থীদের সকল প্রকার লেনদেন স্থগিত থাকবে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে স্মারকলিপির সমন্বয়কারী শারমিন কবিতা বলেন, ‘প্রশাসন ভিসি নিয়োগে অগ্রগতির বিষয়ে আমাদের কোনো কৈফিয়ত দিচ্ছে না। এভাবে চললে আগামী চার বছরেও আমরা ভিসি পাবো না। আমরা ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনে দেখা করার আবেদন করেছি। যদি তারা এ সময়ের মাঝে আশানুরুপ বক্তব্য না দিতে পারে, তাহলে আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে যাবো এবং হাইকোর্টে মামলা করবো।’
শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বাধা প্রদানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যখন আমরা এই নায্য দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করি, তখন কিছু শিক্ষক এটা আটকানোর চেষ্টা করেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর করতে নিষেধ করেছে। আমার প্রশ্ন, তারা এটা আটকানোর কে? আমরা টাকা দিয়ে পড়ছি। বৈধ ভিসি চাইতেই পারি। তারা কি আমাদের ভিসি এনে দেবে?’
এদিকে, শিক্ষার্থীদের দেয়া স্মারকলিপির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. এস. তাসাদ্দেক আহমেদ বলেন, ‘আমি এটা পেয়েছি। তবে এখনো পড়া হয়নি।’ এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর কাছেও অনুলিপি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, হাইকোর্টে ইউজিসির করা আপিলে উপাচার্যের বৈধতা সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি না হলেও গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত ও চলতি দায়িত্বে ৪ বছর দায়িত্ব পালন সম্পন্ন করেছেন ডা. লায়লা পারভীন বানু। ২০১৭ সালের ১৪ মার্চ গবি ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃক তিনি নিয়োগপ্রাপ্ত হন।