লিডিং ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপক পদে ড. ফারুকের যোগদান

ড. এ এস ফারুক
ড. এ এস ফারুক  © ফাইল ফটো

ড. এ এস ফারুক গতকাল সোমবার (১ মার্চ ২০২১) সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেছেন। লিডিং ইউনিভার্সিটিতে যোগদানের আগে তিনি শান্ত মরিয়ম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিতে অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

কর্মজীবনের শুরুতে ১৯৯৬ সালে ড. ফারুক অস্ট্রেলিয়ার সিডনির আলফা বিটা কলেজে লেকচারার পদে যোগদান করেন।পরবর্তীতে সেখানে সহকারী অধ্যাপক এবং সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান এবং ২০১০ সাল পর্যন্ত পাঠদান করেন। তিনি ২০১১ সালে বিসিএমসি কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিতে সহযোগী অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়াও ড. ফারুক শান্ত মরিয়ম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিতে আইটি কনসাল্টেন্ট পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি ২০১৮-২০২১ পর্যন্ত সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিতে ডিরেক্টর অব আইটি হিসেবে দ্বায়িত্বরত ছিলেন।

শিক্ষাজীবনে তিনি ১৯৯৫ সালে সিঙ্গাপুরের ইনটেক্ট কলেজ থেকে ডিপ্লোমা অব কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, ২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার আলফা বিটা কলেজ থেকে ডিপ্লোমা অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (মেজর নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং) এবং ২০০৪ সালে সেন্ট্রাল কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যাচেলব অব ইনফরমেশন টেকনোলজিতে ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৫ সালে তিনি অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব বেলারত থেকে এমবিএ এবং পরবর্তীতে ২০০৭ সালে মাস্টার অব ইনফরমেশন টেকনোলজি ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১১ সালে তিনি একই ইউনিভার্সিটি থেকে ইনফরমেশন টেকনোলজি নিয়ে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তাঁর গবেষণাক্ষেত্র ছিল ‘সেন্সিং অ্যান্ড বায়ো-সেন্সিং কম্পিউটেশনাল ইলেক্ট্রনিকস, ওয়েব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড নেটওয়ার্ক অ্যান্ড সাইবার সিকিউরিটি’।

দীর্ঘ ২৪ বৎসরের শিক্ষকতা জীবনে ড. ফারুকের ৮টি বইসহ দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন রের্ফাড জার্নালে ২১টি গবেষণা প্রকাশিত হয়। এ ছাড়াও তিনি সিসিএনএ, সিসিএনপি, সিসিএনপি-সিকিউরিটি-এসওসি, এমসিএসই, ওসিপি, আরএইচসিই, এডব্লিউএস, সিইএইচ, এমটিসিআরই, এমটিসিএসইসহ বিভিন্ন প্রফেশনাল সার্টিফিকেশনস/ট্রেইনিংসে অংশ নেন। তিনি আইবি, বিসিএস, এসিএস, আইইইই'র প্রফেশনাল সদস্য। তিনি দেশ এবং আন্তজার্তিক পর্যায়ে বিভিন্ন কনফারেন্স ও সেমিনার-এ অংশগ্রহন করেন। ড. ফারুক একজন খ্যাতনামা তথ্য প্রযুক্তিবিদ।

সিলেটের উচ্চশিক্ষাঙ্গণে বেসরকারি খাতের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান এবং দেশের প্রথম সারির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে (লিডিং ইউনিভার্সিটি) কাজ করার প্রয়াসে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।


সর্বশেষ সংবাদ