স্কপাস র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেলো আইআইইউসির ৬ শিক্ষকের গবেষণা
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক র্যাঙ্কিং প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্কপাসের তালিকায় স্থান পেয়েছে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের ছয় শিক্ষকের গবেষণা। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত ডাটাবেজে এ তথ্য উঠে এসেছে। তাদের এ সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক কে. এম. গোলাম মহিউদ্দিন।
এ বছর স্কপাসের প্রকাশিত ১৩৮টি গবেষণা প্রতিবেদনের মধ্যে আইআইইউসির ছয় শিক্ষকের গবেষণাকর্ম প্রথম দিকে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, যৌথভাবে প্রথম স্থানে রয়েছে ফার্মেসি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আরিফুল হক এবং সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ আকতার সাঈদ।
এছাড়া ২য় স্থানে রয়েছেন ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ এস এম আলী রেজা, ৩য় স্থানে একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শামীমা নাসরীন, ৪র্থ স্থানে বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মাদ নাজমুল ইসলাম, সর্বশেষ ৫ম স্থানে রয়েছেন ইলেকট্রিকেল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সিকদার সাবনিম ইসলাম।
এ বিষয়ে ড. মোহাম্মাদ আকতার সাঈদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আইআইইউসি শুরু থেকেই আমাদের কোয়ালিটি এডুকেশনের উপর জোর দিয়েছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নির্ণয়ে শুধুমাত্র কোয়ালিটি টিচার যথেষ্ট নয়। তার জন্য প্রয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষণা। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রশাসন থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সকলেই গবেষণার কাজে জড়িত।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সহায়তায় আমরা আমাদের গবেষণাকর্ম প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের গবেষণা আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিংও কিন্তু এ গবেষণার উপর দেয়া হয়ে থাকে। আমাদের গবেষণা কাজে সহায়তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ড. মুহাম্মাদ আরিফুল হক বলেন, ‘অনেক ভালো লাগছে। আমি অনেক বেশি কৃতজ্ঞ আইআইইউসি ফার্মেসি ডিপার্টমেন্ট, ফ্যাকাল্টি মেম্বার, ছাত্র-ছাত্রী এবং সর্বোপরি আইআইইউসি অথোরিটির প্রতি। তাদের সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণা ছাড়া এ অর্জন কখনোই সম্ভব হতো না। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, অদূর ভবিষ্যতে আইআইইউসি গবেষণায় আরো অনেকদূর এগিয়ে যাবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের এ অর্জনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে উপাচার্য গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘আইআইইউসিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণার একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এখানের ছাত্র-শিক্ষকরা সমন্বিতভাবে গবষেণাকর্মে অংশ নিয়ে থাকেন। এতে করে শিক্ষকদের তত্ববধানে শিক্ষার্থীরাও গবেষণা এগিয়ে যাচ্ছে। গবেষণার জন্য আমরা আমাদের শিক্ষকদের সবচেয়ে বেশি প্রনোদনা দিয়ে থাকে। আন্তর্জাতিকভাবে যে কনফারেন্সগুলো হয় সেগুলোতেও আমরা অংশগ্রহণ করে থাকি।’
উপাচার্য বলেন, ‘দেশে-বিদেশে আমাদের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ভালো একটা যোগাযোগ রয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষক-গবেষকরা আমাদের বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে থাকেন। সবমিলিয়ে কর্মের মাধ্যমে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং এগিয়ে আসতে শুরু করেছে এবং বর্তমানে আমরা এসব র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম দিকে অবস্থান করছি।’