‘৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সীমিত পরিসরে বিশ্ববিদ্যালয় খুলবো’
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান বলেছেন, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সীমিত পরিসরে আমরা আমাদের স্থায়ী ক্যাম্পাস খুলবো। আমরা জানি, সরকারও ইতিমধ্যে সীমিত পরিসরে ক্যাম্পাসগুলো যাতে খোলা যায় সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। যতটুকু সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা আমাদের আশুলিয়ার স্থায়ী ক্যাম্পাস খুলতে চাই।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ রবিবার বিকেল ৩টায় ‘অনুভবে এবং অনুভূতিতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। অনলাইনের প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এ সভার আয়োজন করা হয়।
ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সবুর খান বলেন, শিক্ষার্থীদের ছাড়া ফাউন্ডেশন ডে উদযাপন করছি এটা আমার কাছে ভাবতেই অবাক লাগে। সাধারণ মানুষের জীবনে দুইটা ঈদ থাকে, কিন্তু ড্যাফোডিল শিক্ষার্থীদের কাছে দুইটা ঈদের সঙ্গে আরেকটা ঈদ হচ্ছে এ ফাউন্ডেশন ডে। শিক্ষার্থীদের ছাড়া এ অনুষ্ঠান উদযাপনে আমরা খুবই মর্মাহত। ফাউন্ডেশন ডে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে আলাদা উচ্ছ্বাস থাকে।
তিনি বলেন, শিগগিরই আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী ক্যাম্পাস খুলে দেব। খোলার পর আমাদের অনেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে এসে অবাক হবে। কারণ তারা যে ক্যাম্পাসকে রেখে গিয়েছিল সে ক্যাম্পাস এখন অনেক বড়ভাবে বিস্তৃত হয়েছে।
ক্যাম্পাস খুলতে নিজেদের প্রস্তুতির কথা তুলে ধরে সবুর খান বলেন, ইতিমধ্যে ক্যাম্পাসে অভ্যান্তরে ১০তলা তিনটি ভবনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের জন্য আলাদা কোয়ার্টারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ছাত্রীদের জন্য ১০তলা পূর্ণাঙ্গ একটি ভবন করা হয়েছে। ছাত্রদের জন্যেও আলাদা ছাত্রবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা এতোদিন আমাদের ক্যাম্পাসে বাইরের দিকটা দেখতে পেরেছি। কিন্তু এখন ক্যাম্পাসের ভেতরে আরও আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ কাজে আমি আমাদের লাইব্রেরীর কর্মীদের ধন্যবাদ জানাই। আমি আগেও বলেছি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরি হবে দেশের অন্যতম সেরা লাইব্রেরী। আমরা আশা করছি আগামী মাসের ভেতরেই ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক লাইব্রেরী আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করতে পারবো।
তবে এখনো বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে কোন অনুমিতি পায়নি বলে গতকাল শনিবার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে। ইউজিসি সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আমরা এখনো কোনো নির্দেশনা পাইনি। সরকার যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশনা দেয় তাহলে আমরাও সেই পথেই হাটব।
এর আগে শুক্রবার রাতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পূর্ব প্রস্তুতি নিতে নির্দেশা দেয়া হয়। তবে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কোনো নির্দেশনা ছিল না।