অনুমোদনহীন বিভাগে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়, সার্টিফিকেট চাইলে দেয় মামলা

পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি
পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি   © ফাইল ফটো

অনুমোদনহী বিভাগ দিয়ে চলছে বগুড়ার পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (পিইউবি)। বিশ্ববিদ্যালয়টির আইন বিভাগের অনুমোদন না নিয়েই শিক্ষার্থীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। কোর্স শেষে সার্টিফিকেট চাইতে গেলে হয়রানি করা হয় মামলা দিয়ে। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটিই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এসএটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউজিসির অনুমোদন ছাড়াই আইন বিভাগে অবৈধভাবে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিভাগটির বর্তমান শিক্ষার্থীরা ৪ বছর মেয়াদী কোর্স শেষ করে এখন অনিশ্চিত জীবনযাপন করছেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি তাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন তারা শিক্ষার্থীদেরকে সার্টিফিকেট দিতে পারবে না এবং তিনি শিক্ষার্থীদের সম্পর্কেও কিছু জানেন না। আগের ভিসি তাদেরকে ভর্তি করিয়েছে, তাই নতুন প্রশাসন তাদের কোন দায়িত্ব নিতে পারবে না। এসব বিষয় নিয়ে ভিসির সঙ্গে দেখা করতে গেলে সে সুযোগও তাদেরকে দেয়া হয় না।

উত্তরবঙ্গের কোন বিশ্ববিদ্যালয় না থাকায় বগুড়ার কিছু উদ্যোগী ব্যক্তির সমন্বয়ে ‘পুন্ড্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠাকল্পে ২০০১ সালে হিউম্যান ইম্প্রুভমেন্ট ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এই HI-Foundation এর দ্বারা ২০০২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা পায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ক্যাম্পাস ছিল রংপুর রোড, গোকুল, বগুড়ার টিএমএসএস নির্মিত একটি ভবনে। পরবর্তীতে উদ্যোক্তারা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চাহিদার প্রেক্ষিতে গোকুল থেকে শহরে টিএমএসএস মহিলা ভবন এবং কাটনারপাড়া মহাতাব হেরিটেজে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে স্থানান্তরিত করা হয়। প্রতিষ্ঠার পরের বছর অর্থাৎ ২০০২ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদ পেলেও আইন বিভাগের অনুমোদন নেই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। বার কাউন্সিলের অনুমতি পত্রও পায়নি প্রতিষ্ঠানটি।

বিশ্ববিদ্যালয়টির আইন বিভাগের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নুর আফরোজ বিথি বলেন, আমরা বৈধ সার্টিফিকেট চাই। আমাদের ভবিষৎ সুনিশ্চিত করা হোক। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার করা হোক। কর্তৃপক্ষ কেন আমাদের এতোগুলো শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রতারণা করলো এর জবাব দিতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা এর বিচার চাই।

তবে আইন বিভাগের অনুমোদন না থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন পুন্ড্র ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান হোসনে আরা বেগম। তিনি বলেন, এই অবস্থা থেকে উদ্ধার হওয়ার জন্য আমরা প্রাণপন চেষ্টা করছি। আমরা শিক্ষার্থীদের প্রস্তাব দিয়েছি, তারা চাইলে অন্য যেকোন বিষয়ে ভর্তি হতে পারবেন। অথবা তারা চাইলে ক্ষুদ্রঋণ ভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা ‘ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘে (টিএমএসএস) চাকরি গ্রহণ করতে পারবেন।


সর্বশেষ সংবাদ