বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ট্রাক চাপার ঘটনা দেখা গেল ক্যামেরায় (ভিডিও)

  © সংগৃহীত

সোমবার (৪ জানুয়ারি) দিনগত রাত দেড়টার দিকে মোটরবাইকে করে বাসায় ফিরছিলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী আশা চৌধুরী। রাজধানীর দারুস সালাম এলাকায় হঠাৎ একটি ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

এ ঘটনার ভয়াবহ দৃশ্যটি রেকর্ড হয়ে যায় পেছনে থাকা একটি প্রাইভেট কারের স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরায়। যা পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

১ মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, রাত ১টা ৩৬ মিনিটে মোড় ঘোরার জন্য আশাদের মোটরবাইকটি অপেক্ষা করছিল একটি পিকআপ ভ্যানের পেছনে। এ সময় তাদের পেছন থেকে আসা একটি ট্রাক ধাক্কা দেয় মোটরসাইকেলটিকে।

বাইকচালক অবশ্য সঙ্গে সঙ্গে উঠে পড়েন। দৌঁড়ে যান আশার কাছে। গিয়ে দেখেন, ট্রাকটির চাকা ততক্ষণে আশার মুখের কিছু অংশ থেঁতলে দিয়ে দ্রুত সটকে পড়েছে। 

ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে পুলিশ উপস্থিত হয়। তারা আশাকে নিয়ে যায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা জানান, ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন আশা।  

এদিকে,  মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে আশাকে দাফন করা হয়েছে। পরে এ ঘটনায় দারুস সালাম থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় আশাকে বহনকারী মোটরবাইকের চালক শামীম আহমেদসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বিষয়ে দারুস সালাম জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মিজানুর রহমান জানান, মঙ্গলকার রাতেই আশার বাবা আবু কালাম বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলায় বাইকচালক মো. শামীম আহমেদকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, অভিযুক্ত শামীম আহমেদ অভিনেত্রী আশা চৌধুরীর পরিবারের ৬ থেকে ৭ বছরের পরিচিত। তাঁকে সন্দেহ হওয়ায় অভিনেত্রীর পরিবার শামীমকেসহ সড়ক আইনের ১০৫ ধারায় অজ্ঞাত আরও চারজনকে আসামি করেছে। আমরা মূল ঘটনা উদঘাটন করে অপরাধীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।

চার বোনের মধ্যে আশা চৌধুরী সবার বড়। রাজধানীর বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলোজিতে (বিইউবিটি) আইন বিভাগে সপ্তম সেমিস্টারে পড়াশোনা করতেন তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ