উপাচার্য ছাড়া ৩৩ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় (তালিকা)

  © সংগৃহীত

দেশে অনুমোদিত ১০৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৩টিতে উপাচার্য নেই; ৮৩টিতে উপ-উপাচার্য নেই এবং ৫২টিতে কোষাধ্যক্ষ নেই। আর উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ কেউ নেই এমন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১৯টি। তিনটি পদ পূর্ণ আছে এমন বিশ্ববিদ্যালয় মাত্র ১০টি। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এ সংক্রান্ত একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।

ইউজিসির সর্বশেষ তথ্যমতে, দেশে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০৭টি। এরমধ্যে একটিতে (ইবাইস ইউনির্ভাসিটি) বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। আর আরেকটি (কুইন্স ইউনির্ভাসিটি) সরকার কর্তৃক বন্ধ রয়েছে। এছাড়া কয়েকটিতে একাডেমিক কার্যক্রম এখনও চালু হয়নি।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী, উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ— এ তিন পদে নিয়োগ দেন আচার্য ও রাষ্ট্রপতি। তবে প্রাথমিক কাজটি করে থাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাছ থেকে প্রস্তাব আসার পর তারাই সরকারের কাছে এসব পদে নিয়োগের জন্য প্রস্তাব পাঠায়। সেটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে যায়। কিন্তু এই কাজে ঢিলেমি হয়।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনানুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এই তিন পদে নিয়োগ দিতে একেকটি পদের বিপরীতে তিনজন অধ্যাপকের নাম প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। সেগুলোর ইউজিসির মাধ্যমে যাচাই করে সরকারের উচ্চপর্যায়ে পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখান থেকে আচার্য হিসেবে রাষ্ট্রপতি একজনকে নিয়োগ দেন।

ইউজিসির সর্বশেষ তথ্যমতে, শীর্ষ তিনটি পদই পূরণ আছে, এমন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সংখ্যা মাত্র ১০। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই তিন পদে নিয়োগ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুই পক্ষেরই দায় আছে। অভিযোগ আছে, অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ম পুরোপুরি না মেনে নিজেরাই একজনকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে মাসের পর মাস শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালায়। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের অর্জিত ডিগ্রির সনদে মূল স্বাক্ষরকারী হলেন উপাচার্য। কিন্তু বৈধ উপাচার্য না থাকায় মূল সনদ পেতে শিক্ষার্থীদের সমস্যায় পড়তে হয়। যদিও সাময়িক সনদ দিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ করা যায়। কিন্তু মূল সনদ দেওয়া যায় না।

অভিযোগ আছে, আইন অমান্য করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজেদের মতো করে কাউকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়, যা আইনের পরিপন্থী। কারণ, রাষ্ট্রপতি ছাড়া এই তিন পদে আর কেউ নিয়োগ দিতে পারেন না।

যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত উপাচার্য নেই:

ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক, গণ বিশ্ববিদ্যালয়, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, লিডিং ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, পুন্ড্রু ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজী, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি, রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, জেড এইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ইউনির্ভাসিটি, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজী (সৈয়দপুর, নাটোর), নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজী, রূপায়ন এ কে এম শামসুজ্জোহা বিশ্ববিদ্যালয়, আহসানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,  খুলনা খান বাহাদুর আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহ মখদুম ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটি, ট্রাস্ট ইউনির্ভাসিটি, ইউনিভার্সিটি অব স্কিল এনরিচমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি, মাইক্রোল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা এবং আরটিএম আল কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি।

*যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ রয়েছে তার তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।


সর্বশেষ সংবাদ