২২ অক্টোবর ২০২০, ১৯:৩৯

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি ৫০ শতাংশ কমানোর দাবি

মানববন্ধন  © সংগৃহীত

করোনাভাইরাস কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি ৫০ শতাংশ কমানোর দাবি জানিয়েছে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানায় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

সংগঠনটির সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল করীম আকরাম বলেছেন, করোনা পরবর্তী প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের টিউশন ফি ৫০ শতাংশ অবশ্যই কমাতে হবে। শিক্ষা আমাদের মৌলিক অধিকার, একে বর্তমানে বাণিজ্যিক প্রকল্পে পরিণত করা হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে। সুতরাং ল্যাব, বিদ্যুৎ, পানি, লাইব্রেরি, স্টুডেন্ট এক্টিভিটি ফি ইত্যাদি লাগবে কেন? টিউশন ফির সাথে এসব যুক্ত করার ন্যূনতম যৌক্তিকতাও নেই। প্রয়োজনে সরকারকে এর ভর্তুকি দিতে হবে। ৫ লাখ শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলার সুযোগ ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন দিবে না।

নুরুল করীম আকরাম আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের রুল অনুযায়ী প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হবে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু অধিক হারে মুনাফা অর্জন করার লক্ষ্য নিয়েই তারা শিক্ষাকে বাণিজ্যিকিকরণ করেছে। আমরা শিক্ষা নিয়ে কোনো বাণিজ্য করতে দেব না। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তথ্য মতে বর্তমানে বাংলাদেশে ১০৬ টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে এবং সেখানে প্রায় ৫ লাখ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছে। এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর একটা বড় অংশ উঠে এসেছে মফস্বল কিংবা গ্রামের উচ্চমধ্যবিত্ত অথবা মধ্যবিত্ত ঘর থেকে। সুতরাং করোনা পরবর্তী এ সময়ে টিউশন ফি‘র নামে এ প্রহসন বন্ধ করতে হবে।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল একেএম আব্দুজ্জাহের আরেফি, প্রচার সম্পাদক এইচএম সাখাওয়াত উল্লাহ, এশিয়ান ইউনিভার্সিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ইমরান, গ্রিন ইউনিভার্সিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটির সভাপতি আব্দুস সবুর, নর্দান ইউনিভার্সিটির সভাপতি মাহমুদুল হাসান নাহিদ, বাংলাদেশ ইসলামিক ইউনিভার্সিটির সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।