২৫ আগস্ট ২০২০, ২১:৪৭

গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে ‘আউটকাম বেসড এডুকেশন’ সেমিনার

  © ফাইল ফটো

আধুনিককালে শুধু শ্রেণি কক্ষের পাঠদানই যথেষ্ট নয় বরং বছর শেষে একজন শিক্ষার্থী কী শিখল-সেটাই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য। এ ক্ষেত্রে একজন ছাত্রকে একাডেমিক জ্ঞানের পাশাপাশি দক্ষতা, নৈতিকতা, চিন্তা করার ক্ষমতা এবং সৃজনশীল গুণেও গুণান্বিত হতে হবে। তবেই আধুনিক শিক্ষার ধারা আউটকাম বেসড এডুকেশনের (ওবিই) মূল উদ্দেশ্য হাসিল হবে।

মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে ‘আউটকাম বেস কারিকুলাম: ডিজাইন অ্যান্ড ইভাল্যুয়েশন’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস, ল’ এবং আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স অনুষদ এ সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির প্রধান অতিথি ছিলেন। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন করেন উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। এছাড়াও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. জাহিদুল ইসলাম আলোচনায় অংশ নেন।

সেমিনারে অধ্যাপক ড. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, আধুনিকীকরণের সঙ্গে শিক্ষার ধরন ও কাঠমো প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। আউটকাম বেসড এডুকেশন বা ওবিই এমনই একটা ধারা।

অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আউটকাম বেসড এডুকেশনে সেমিস্টার বা বছর শেষে একজন শিক্ষার্থী কী শিখল, তা পর্যবেক্ষণ ও পরিমাপ করা যাবে। অর্থাৎ এটা সুনির্দিষ্ট শিক্ষা। এখানে একজন শিক্ষক কী পড়াল সেটা মুখ্য বিষয় নয়, বরং শিক্ষার্থী কী জানল-শিখল সেটাই বিবেচ্য বিষয়। উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থী ১০০ নম্বরের মধ্যে ৪০ শতাংশ নম্বর পেল। এখানে তার নম্বরটি গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং কী শিখে ছাত্রটি ৪০ শতাংশ নম্বর পেল, সেটা ওবিই’র মূল উদ্দেশ্য। এ সময় তিনি আউটকাম বেসড এডুকেশেনের নানা অনুষঙ্গ তথা নৈতিকতা, টিম স্প্রিট, আচরণসহ নানা বিষয় তুলে ধরে গ্রিন ইউনিভার্সিটির জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তুাবনা উপস্থাপন করেন।

অধ্যাপক ড. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, চলমান শিক্ষায় সিজিপিএ’কে মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয়, কিন্তু ওবিই শিক্ষায় একাডেমিক ফলাফলের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা নানা দক্ষতায় জড়িত।

সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. গোলাম আহমেদ ফারুকীসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়াপার্সন ও শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন।