ড্যাফোডিল ক্যাম্পাসে ফেরার অপেক্ষায়...
সাভারের আশুলিয়ায় সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত পরিবেশে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস। ঢাকার অদূরে যার অবস্থান। শিক্ষার্থীদের আনাগোনায় মুখরিত থাকত ক্যাম্পাসটি। তবে গত পাঁচ মাস ক্যাম্পাস পুরোপুরি ফাঁকা। যদিও অনলাইলে চলছে ক্লাস-পরীক্ষা।
করোনার কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতির আগে প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে সরগরম থাকলেও এখন ফাঁকা পড়ে রয়েছে ক্যাম্পাস ও ক্লাসগুলো। শিক্ষার্থীদের আড্ডার জায়গা বনমায়া, নলেজ ভ্যালি, কাঁঠালতলা, গ্রীন গার্ডেন এবং ট্রান্সপোর্ট শেডেও নেই কোন কোলাহল।
বনমায়া শিক্ষার্থীদের মিলন মেলা হিসাবে পরিচিত। এখানে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে গ্রুপ স্ট্যাডি, আড্ডা এবং অবসরে সময় কাটিয়ে থাকে। গ্রীন গার্ডেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একটি রেস্টুরেন্ট। এখানে শিক্ষার্থীরা সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, বিকালের নাস্তা ও রাতের খাবার খেয়ে থাকে। পাশাপাশি আড্ডা, গ্রুপ স্ট্যাডি করে জমিয়ে রাখে শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের অবসর সময় কাটে নলেজ ভ্যালি, ফুড কোর্ট, বিশাল সবুজ মাঠে এবং কাঁঠালতলাসহ বিভিন্ন জায়গায়। ক্লাস শেষ করে নিজেদের গন্তব্যের পথ ধরতে সবাই মিলিত হয় ট্রান্সপোর্ট শেডে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন রুটে ৫০ টিরও অধিক বাস সেবা চালু রয়েছে। এখন এসব আর চোখে পড়ে না। যেদিকে থাকায় সবই হাহাকার।
আশা করি করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে আবারো শিক্ষার্থীদের দ্বারা মুখরিত হবে প্রিয় ক্যাম্পাস। ভাঙবে শিক্ষার্থীশূন্য নিস্তব্ধতা, ড্যাফোডিলের স্থায়ী ক্যাম্পাস ফিরে পাবে সজিবতা।