স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত
দেশে চলমান কভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্যেই বেসরকারি স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ উঠেছে। পূর্ব নোটিশ ছাড়াই শুধুমাত্র মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চাকরিচ্যুতদের মোবাইলে এসএমএস দিয়ে বরখাস্তপত্র নিতে ডাকে। শনিবার (২৫ জুলাই) অফিসে গেলে বকেয়া পরিশোধ না করেই তাদের বরখাস্তপত্র ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। তালিকা করে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। হুট করে কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা।
সদ্য বরখাস্ত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, করোনার কারণে এর আগে আমার স্বামী চাকরি হারিয়েছেন। এখন বিনা নোটিশে আমার চাকরিও চলে গেল। আমাদের বকেয়া টাকাও পরিশোধ করা হয়নি। এখন পরিবার নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হয়েছে আমাদের। প্রয়োজনীয় বাজার করা এবং বাসাভাড়াও দিতে পারছি না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাকরিচ্যুত আরেক কর্মকর্তা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিনা কারণে ছাঁটাই করতে তালিকা করা হয়েছে। সবাইকে ডেকে বরখাস্তপত্র হাতে ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে। গত চার মাস থেকে অর্ধেক বেতন দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এখন বেতন ছাড়াই সবাইকে ছাঁটাই করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে চাকরিচ্যুতরা পরিবার নিয়ে বিপদে পড়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আব্দুল মতিনকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সুপা সাদিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের ধানমন্ডি ক্যাম্পাস বন্ধের জন্য ইউজিসির নির্দেশনা রয়েছে। তাই একটা ক্যাম্পাসে একই বিভাগে অধিক কর্মী নিয়োগ হওয়ায় এবং অন্যান্য কিছু কারণে কিছু কর্মীকে দুঃখজনকভাবে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়।