আইআইইউসির দাওয়াহ বিভাগ নিয়ে মিথ্যাচার, ব্যাখ্যা দিলেন চেয়ারম্যান
- আইআইইউসি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২০, ০৭:১০ PM , আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২০, ০৭:৩৩ PM
চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (আইআইইউসি) আসিফ ইকবাল সৌরভ নামে এমবিএর এক শিক্ষার্থী দা’ওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থী তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে দাওয়া অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ নিয়ে বিকৃত মন্তব্য করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মাদ আমিনুল হক ওই শিক্ষার্থীর পোস্টের সমালোচনা করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
তিনি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘‘আমি দাওয়াহ বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিলাম। বর্তমানে বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। দাওয়াহ বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. আবু রেজা নদভী বর্তমান সরকারের এম.পি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এসব খবর কারো অজানা নয়। কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় হলো, প্রায় ২৫ বছরের পুরনো একটি ডিপার্টমেন্টকে দাওয়াহ সার্কেল বলে শিবিরের অংগ সংগঠন বলে চালিয়ে দেয়া!
দাওয়াহ শব্দটি কারো ব্যক্তিগত সম্পদ নয়। এটি সার্বজনীন। যে কেউ এটি ব্যবহার করতে পারে। পবিত্র কুরআনেও দাওয়াহ শব্দটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। অতএব আমার অপছন্দের কেউ এ শব্দটি ব্যবহার করলেই যে আমি আর এই শব্দটি ব্যবহার করতে পারব না এটা কেমন কথা। আমার পছন্দের নামটি অন্য কেউ পছন্দ করলে আমি কি পচে যাব?
দাওয়াহ বিভাগের নিয়মিত প্রকাশনা মাসিক দাওয়াহ। এ পত্রিকার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আবু রেজা নদভী এম.পি। আমি এই পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।
গতকালকের আসিফ ইকবালের পোস্টের ব্যাপারে আমাকে অনেকেই আসল তথ্য জানতে চেয়েছেন এইজন্য আমার এই ক্ষুদ্র লেখা। যারা সত্যকে বিকৃত করছে তাদের বিষয়টি আইনশৃংখলা বাহিনী দেখবে।
আসিফের পোস্টের কারণে যেহেতু আবু রেজা নদভী স্যারেরও ইমেজ ক্ষুন্ন হয়েছে সে কারণে তিনিও বিষয়টি দেখবেন। আমি শুধু কুরআনের একটি আয়াত দিয়ে শেষ করতে চাই: إن جاءكم فاسق بنبأ فتبينوا অর্থাৎ- তোমাদের কাছে যদি কেউ কোন খবর নিয়ে আসে তা যেন যাছাই বাছাই করে দেখ (আল হুজরাত:০৬)।’’
প্রসঙ্গত, স্টুডেন্ট ইসলামিক দাওয়াহ সার্কেল নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সামাজিক সংগঠন ছিল। সেই সংগঠনের সাথে একটি ছাত্রসংগঠনের নাম গুলিয়ে দাওয়াহ বিভাগের নামে বিকৃত করার হয়েছে।