১৪ জুন ২০২০, ২০:৫৯

করোনাকালীন বাজেট হতে হবে টিকে থাকার: ড. আতিউর

  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেছেন, এত অনিশ্চিত পরিবেশে পৃথিবীর কোনো দেশ এর আগে বাজেট দেয়নি। এখন আমরা যে সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি সেই সংকট আমাদের একার নয়, গোটা পৃথিবীর। এই সময়ে আমাদের বাজেট হওয়া উচিত টিকে থাকার বাজেট। কিন্তু বাজেটে সেই প্রতিফলন সামান্যই দেখা গেছে।

রোববার (১৪ জুন) ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আয়োজনে ‘জাতীয় বাজেটের প্রতিফলন’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ড. আতিউর।

ড. আতিউর রহমান বলেন, করোনাকালীন বাজেটে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে স্বাস্থ্য ও কৃষির উপর। সবার আগে মানুষকে বাঁচাতে হবে। মানুষ বাঁচলে অর্থনীতি বাঁচবে। এজন্য স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ আরও বাড়াতে হবে এবং একইসঙ্গে গ্রামীণ অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখতে কৃষিখাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. নুরুল আমিন এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট শামস মাহমুদ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় ও উদ্যোক্তাবৃত্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাসুম ইকবাল এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মো. নুরুল আমিন বলেন, গুরুত্ব অনুসারে এই বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে সবচেয়ে বেশি নজর দেয়া উচিত এবং অর্থমন্ত্রী সেটিই করেছেন। স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে এবং করোনা মোকাবেলার জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর পাশাপাশি কৃষি খাতেও আগের বাজেটের চেয়ে এই বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। প্রস্তাবিত এই বাজেট বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন মো. নুরুল আমিন।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, এই বছরটা আসলে টিকে থাকার বছর। মুনাফা নয় বরং টিকে থাকাই সকলের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। এজন্য অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। শামস মাহমুদ আরও বলেন, এই বাজেটে ৫১ শতাংশ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু প্রাইভেট সেক্টর এখনো পুরোপুরি খুলে দেয়া সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে কিনা সে ব্যাপারে তিনি সন্দিহান।