নর্থ সাউথের চার শিক্ষক-কর্মকর্তার অনিয়ম তদন্তে কমিটি
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষক ও তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গবেষণা, প্রশাসনিক ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে এসব কমিটি গঠন করা হয়।
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলছে তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য ও স্বাস্থ্য-জীবন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিইউ আহসান, প্রক্টর অধ্যাপক নাজমুল আহসান খান, পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ সাবের ও চিফ সিকিউরিটি অফিসার এম ইমরান।
অধ্যাপক জিইউ আহসান ও অধ্যাপক নাজমুল আহসান খনের বিরুদ্ধে গবেষণায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ দুইজন মিলে প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর জালিয়াতির হোতা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি (বহিষ্কৃত) তরিকুল ইসলামকে একটি বিদেশি গবেষণায় সিনিয়র লেখক হিসেবে দেখিয়েছেন। প্রথমে তার নাম এবং পরে জিইউ আহসান ও নাজমুল আহসানের নাম পাঠানো হয় সেই গবেষণার আবেদনে। অথচ তরিকুল ইসলাম তখন নর্থ সাউথের ছাত্রই ছিলেন না। তাছাড়া ওই গবেষণায় তার কোনো অবদানও ছিল না। ২০১৮-২০১৯ সালের এ ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (গবেষণা) নরম্যান সোয়াজকে।
অপরদিকে, সাবের ও ইমরানের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ইসমাঈল হোসাইন এবং পরিচালক জাফর ইকবাল রাসেলকে সদস্য সচিব করে কমিটি করা হয়েছে। এতে সিনিয়র অধ্যাপক মোস্তফা কামাল খান এবং সংশ্লিষ্ট তিনটি অনুষদের তিনজন ডিনকে সদস্য করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, তিন কর্মকর্তা ও একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত চলাকালে তাদের সব ধরনের দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের চাকরিচ্যুত করাসহ আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।