করোনা: কেমন কাটছে মানারাত ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের জীবন
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আতঙ্কে এখন সারা বিশ। এই ভাইরাসের ছোবল বাংলাদেশেও। দিনদিন বাড়ছে সংক্রমণের হার ও মৃত্যুর সংখ্যা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখেছে রাজধানীর অন্যতম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এমআইইউ)। ফলে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই এখন নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। ঘরবন্দি অবস্থায় শিক্ষার্থীদের এই দিনগুলো কেমন কাটছে- এ নিয়ে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসর মানারাত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিআসমাউল মুত্তাকিন
আব্দুল্লাহ-আল-মামুন
চতুর্থ ব্যাচ, তৃতীয় বর্ষ
ইংরেজী বিভাগ, স্থায়ী ক্যাম্পাস
কোয়ারেন্টিন কেমন কাঁটছে এ প্রশ্নের উত্তর হবে এক শব্দে, আলহামদুলিল্লাহ। করোনার এই সময়টায় অনেকেই অনেক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আল্লাহর অশেষ কৃপায় আমি সুস্থ এবং ভালো আছি। প্রথমদিকের দিনগুলোতে নিজেকে মানিয়ে নিতে বেশ সমস্যায় পড়েছিলাম। কিন্তু এখন মানিয়ে নিয়েছি। করোনার সময়টাতে সারাক্ষনই ঘরের মধ্যে থাকা হয় বিধায় আমি আমার অনেক অভ্যাস পরিবর্তন করতে পেরেছি। অনেক বিষয়ে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করছি।
প্রেজেন্টেশন স্কিল ডেভেলপমেন্ট, টাইম ম্যানেজমেন্ট, লিডারশীপসহ এরকম ৪৫-এর বেশি অনলাইন সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছি এবং নতুন নতুন অনেক কিছু শিখেছি। কোর্সেরা, ইডেক্স, ফিউচার লার্ন, উডেমিসহ বেশ কয়েকটি অনলাইন লার্নিং ওয়েবসাইট থেকে অনেকগুলো অনলাইন কোর্স করেছি। নিজের জ্ঞানের পরিসর বাড়িয়েছি। এখনো নতুন নতুন বিষয় শিখে যাচ্ছি। এছাড়াও প্রতিদিনই অনলাইনে গুরুত্বপূর্ন মানুষদের লাইভ প্রোগ্রাম দেখছি এবং শিখছি।
আর এগুলো ছাড়াও আমার ইন্টারের স্টুডেন্টদের অনলাইন ক্লাস নিচ্ছি এবং তাদের জন্য স্টাডি মেটেরিয়ালস আপডেটের কাজ করে যাচ্ছি। সব থেকে বড় ব্যাপার হলো, আমি এ সময়টাতে কর্পোরেট জগত নিয়ে অনেক বেশি জানার চেষ্টা করছি এবং কর্পোরেটের অনেকের সাথে নিয়মিতই যোগাযোগ হচ্ছে। এছাড়াও এ সময়টাতে ‘জেনারেশন জেড’ নামক একটি অর্গানাইজেশনের হয়ে কন্টেন্ট তৈরী করছি।
ইতোমধ্যে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল চলে এসেছে এবং সেখানে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরী করতে হচ্ছে।আর আমার মতো তরুণদের নলেজ শেয়ারের জন্য আমরা কয়েকজন মিলে একটি লার্নিং প্লাটফর্ম তৈরী করেছি। এছাড়াও প্রচুর বই পড়া হচ্ছে, ঘুমের অভ্যাসও ঠিক করে ফেলেছি, ধর্ম পালনের দিকে অনেক বেশি সচেতন হয়েছি। মোটকথা, নিজের সময়টাকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি।
মিনহাজুল হক
ফার্মেসি বিভাগ
তৃতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় সেমিস্টার
কোয়ারেন্টিন আল্লাহর রহমতে ভালো কাটছে। প্রথম কয়েকদিন ভালো লাগছিল না। মন খারাপ ছিল।এখন ইনশাআল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো কাটছে। এই কোয়ারেন্টিন টাইমে আমি চারটা টাইম ভাগ করে নিয়েছি। প্রথমত. আমি আমার শরীরচর্চা করছি ঘরের মধ্যে। নিজেকে একজন ভালো ক্রিকেটার হিসাবে তুলে ধরতে স্কিলগুলো প্রতি নজর দিচ্ছি। পাশাপাশি কয়েকটা ইসলামিক বই পড়েছি। অনলাইন ক্লাস করছি। সাথে থাকছে বাসার টুকটাক কাজ। এগুলো মিলে যাচ্ছে কোনোরকম।
কোয়ারেন্টিনে মানুষের একঘেয়ামি জীবন ভালো লাগে না। তাই নিজে একটু সময় করে মেডিটেশন করছি। সবার খোঁজ খবর নিচ্ছি। ক্যাম্পাসকে মিস করছি। ক্যাম্পাসের মাঠে খেলাধুলা, আড্ডা প্রিয়, স্যার, বন্ধুদের সবাইকে মিস করছি। তবে মনেকে মাঝে মাঝে বুঝাই। এই করোনায় এ ঝড় একদিন থেমে যাবে। আবার আমরা সবাই ক্যাম্পাসে একদিন ফিরবো। আবার আমাদের শিক্ষার্থীদের কোলাহল মুখরিত হয়ে উঠবে ক্যাম্পাস। সেটা সময়ের অপেক্ষা।
মোঃ শহীদুল্লাহ মানসুর
৭ম সেমিস্টার, তৃতীয় বর্ষ
আইন বিভাগ
কোয়ারেন্টিন বলতে আমরা সাধারণত নিজেকে আবদ্ধ রাখাকে বুঝি, কিন্তু এ আবদ্ধ রাখা জনকল্যাণের জন্য, দেশের স্বার্থে। এখন কেমন কাঁটছে এ প্রশ্নের উত্তর যদি দিতে হয় তবে এক শব্দে, আলহামদুলিল্লাহ। করোনার এই সময়ে সমগ্র দুনিয়া অসহায় আত্মসমর্পন করতে বাধ্য হয়েছে, দিনে দিনে বাড়ছে অনেক সমস্যা। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি সুস্থ এবং ভালো আছি।
প্রথম দিকের দিনগুলো ছিল অনেক কঠিন। হঠাৎ করে এমন অস্বাভাবিক সময়ে নিজেকে মানিয়ে নিতে বেশ সমস্যাই হয়েছিল। কিন্তু এখন বাস্তবতার সাথে মানিয়ে নিয়েছি। করোনার সময়টাতে প্রায় সারাক্ষনই ঘরে থাকা হয়। সুতরাং অনেক অভ্যাস পরিবর্তন হয়েছে। কাজ করছি নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে। প্রেজেন্টেশন স্কিল ডেভেলপমেন্ট, টাইম মেনেজমেন্ট, লিডারশীপসহ আরো কিছু বিষয়ে অনলাইনে পড়াশোনা করার চেষ্টা করছি এবং অনেক কিছু শেখাও হচ্ছে।
আমার লেখালিখির অভ্যাস অনেক আগে থেকে ছিল। কিন্তু কর্মব্যস্ত জীবনে সময় দেওয়া হতো না। এই অবসরে লেখার জন্য অনেক সময় পাচ্ছি। লিখতে গেলে প্রচুর পড়তে হয়, তাতে অনেক জানা হচ্ছে। এছাড়াও আমার শখের ফটোগ্রাফি নিয়ে কাজ করছি। ফটোগ্রাফির একটি অনলাইন কোর্স করলাম এই অবসরে। জানা হলো অনেক কিছু।
প্রাক্টিক্যালি করতে গিয়ে বেশ ভাল অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম। তাছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের লাইভ প্রোগ্রাম দেখছি এবং শিখছি। সব থেকে বড় ব্যাপার হলো, আমি এ সময়টাতে আমার পেশাগত জগত নিয়ে অনেক বেশি জানার চেষ্টা করছি এবং অনেকের সাথে যোগাযোগ করে তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে জেনে সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত করার চেষ্টা করছি। এছাড়াও বই পড়া হচ্ছে, ঘুমের অভ্যাসও ঠিক করে ফেলেছি, ধর্ম পালনের দিকে অনেক বেশি সচেতন হয়েছি।
মোটকথা, অবসরে কিছু না কিছু করার চেষ্টা করেই যাচ্ছি, যেন এই অস্বাভাবিক সময়ের পর যেন নিজেকে হারিয়ে না ফেলি। এই অবসর যেন অভিশাপ হয়ে না দাঁড়ায়, তার জন্য নিজকে ব্যাস্ত রাখছি বহুমুখী কাজে।
মো: নাজমুচ্ছাকিব
প্রথম ব্যাচ, চতুর্থ বর্ষ
ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ, স্থায়ী ক্যাম্পাস
কোয়ারেন্টিনের দিনগুলো আলহামদুলিল্লাহ ভালোই কাঁটছে। এইসময় এক আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। এই ভাইরাস সম্পর্কে শুরু থেকে কাজ করে যাচ্ছি জনসচেতনতা তৈরির জন্য। সেটি সম্ভব হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়ার কারণে। প্রথমদিকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের পরে এলাকায় চলে আসি। তারপর এলাকার যুবক ছেলেদের নিয়ে গঠন করি ধানাইদহ পশ্চিমপাড়া যুব সংঘ। এই সংগঠনের সাম্প্রতিক সময়ের কাজ হলো, করোনাভাইরাস সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি এবং দারিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়ানো।
পরিবার ও কাছের মানুষদের উৎসাহিত করছি। তারা যেন হোম কোয়ারেন্টিন সঠিকভাবে মেনে চলে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচেতনতামূলক অনেক পোস্ট দিচ্ছি। এগুলো করার পরও আল্লাহর রহমতে এখনও পরিবারসহ সুস্থ আছি এবং আল্লাহর অশেষ কৃপায় এখনও আমার উপজেলা (বড়াইগ্রাম) করোনাভাইরাস মুক্ত। প্রায় দেড়মাস এই ভাইরাস নিয়ে কাজ করার পরে এখন মনে হচ্ছে, আমাদের কষ্ট কিছুটা হলেও সার্থক হয়েছে।
মানুষ নিয়ম-কানুনগুলো মেনে চলতে শিখছে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখন থেকে হোম কোয়ারেন্টিন চলে যাবো। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত। হোম কোয়ারেন্টিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার পাশাপাশি অন্য কিছু বই পড়াশোনা করাবো চিন্তা করেছি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বন্ধু বান্ধব ও ছোটভাই বোনদের সঙ্গে হৈ-হুল্লোড় আর আড্ডা মিস করছি। মেস লাইফের ইফতারি মিস করছি। মোটকথা আমি আমার গ্রামকে করোনা মুক্ত দেখতে চায়। আল্লাহ যদি করুনা করেন তাহলে অবশ্যই সেটি সম্ভব।
নাফিস ইবনে মাসুদ
প্রথম বর্ষ, দ্বিতীয় সেমিস্টার
ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
২০১৯ এর ডিসেম্বরটা শেষ হবার সাথে সাথেই নতুন এক আমেজ নিয়ে ২০২০ এ পদার্পন করেছিলাম। মানারাতের ক্যাম্পাসে খুবই নিয়মিত যাওয়া আসা হচ্ছিল। বড় ভাইদের সাথে আড্ডা ক্লাসে স্যারদের মজার মজার অভিজ্ঞতার গল্প আর মাঠে খেলাধুলা করে ভালই কাটছিল বছরের শুরুতে। ভাবছিলাম সারাটা বছর হয়তো এভাবেই কাটবে। এর মধ্যে বাবা একদিন অফিস থেকে মাস্ক নিয়ে আসলেন।
ঘটনা শুনে বুঝলাম চীনে উহানে নতুন ভাইরাসের উৎপত্তি। সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে মনে এমন একটা ভাব ছিল, ধুর বাংলাদেশ আগের মতোই থাকবে। দেখতে দেখতে বন্ধ করে দেয়া হলো সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নিরুপায় হয়ে এখন বাসায় বসে বসে ঘরবন্দী এক জীবনের স্বাদ নিচ্ছি। যারা বলতো বছরে ছয় মাসের দুটো ছুটি চাই, তারা এখন বাসা থেকে বের হওয়ার জন্য ছটফট করছে।
তবে একটা কথা না বললেই নয় আমি হাতে হাত রেখে বসে পড়লে। মা সেই আগের মতোই কাজগুলো করে যাচ্ছেন প্রতিদিন। মানারাত বিশ্ববিদ্যালয় যখন খোলা ছিলো। তখন সকাল সকাল ভার্সিটির বাসে উঠবো। এই তাড়ণায় ঘুম ভেঙে যেত সকাল সকাল। এখন দিনের ২টা বাজলেও চোখ খোলা মুশকিল হয়ে পড়েছে। দারুণ অলস সারাদিন শুয়ে বসে কাটিয়ে কি যে এক বিরক্তি। খুব মিস করছি টং এর আড্ডা, ক্লাস ফাঁকি দিয়ে দিয়া বাড়িতে গোসল করা সুরের মূর্ছনা তুলে ক্যাম্পাসে চেচিয়ে গাওয়া গান বড় ভাই বোনদের আদর আর শাসন, সব ছিল জীবনি শক্তির উৎস।
এখন এই উৎস নিস্তেজ হওয়ায় জীবনীশক্তির অভাব দারুণ বোধ করছি। তবু মনে এই আশা নিয়ে অলসতায় দিন কাটাচ্ছি যে, একদিন আমরা জিতে যাবো, পাবো আবার মুক্তির স্বাদ।
ইসরাত জাহান অমি
নবম সেমিস্টার, তৃতীয় বর্ষ
জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ
আমার কাছে এই ঘরবন্দি জীবনটা মোটামুটি ভালই কাটছে। এই সময় একাডেমিক পড়ার একটু ক্ষতি হলেও ব্যাপক অবসর সময় থাকার কারনে বিভিন্ন বিষয়ে আমার যে দুর্বলতাগুলো আছে সেগুলো কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হচ্ছি। পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারকে সময় দিতে পারছি সেটাই আমার কাছে খুব ভালো লাগতেছে। তারপরও আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, যেনো দ্রুত এই পৃথীবি সুস্থ হয়ে যায়।
মো: জাহাঙ্গীর হাসান
দ্বিতীয় বর্ষ, পঞ্চম সেমিস্টার
কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং
কোয়ারেন্টিনের সময়টা আলহামদুলিল্লাহ ভালো, তবে অবসরটা অনেক বিরক্তিকর লাগে। কাজের কাজ সেই রকম কিছুই হচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে দিনের দীর্ঘ একটা সময় ঘুমাচ্ছি। দিনে ৩/৪ ঘন্টা ফোন নিয়ে পড়ে আছি। আর মাঝে মাঝে একটু আধটু বই পড়ছি বা নোট করছি। এই অবসরে ক্যাম্পাসকে সবচেয়ে বেশী মিস করছি। করোনা মহামারি না থাকলে দিনের বেশিভাগ সময়টাই ক্যাম্পাসে কাটতো।
সেই ক্যান্টিনের চায়ের আড্ডা, বন্ধু-বান্ধব মিলে একটু আধটু খেলাধুলা অথবা টিচারের ক্লাস সবটাই মিস করছি। খুব তাড়াতাড়ি ফিরে যেতে চাই প্রিয় ক্যাম্পাসে। এখন তো অনলাইন ক্লাস হচ্ছে। যা একাডেমিক ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য এটা একটা ভালো উপায়। তারপরেও ক্লাসরুমে বসে ক্লাস করা আর অনলাইনে ক্লাস করার একই হতে পারে না।
ক্লাসরুমে বসে ক্লাস করাটাই কিছু শেখার জন্য উত্তম উপায়। তাছাড়া এই করোনায় ইচ্ছা আছে অনলাইনে কিছু কোর্স করার। এর পাশাপাশি নিজের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করার জন্য একাডেমিক পড়ালেখার বাইরে কিছু বই পড়া ও নোট করার একটা পরিকল্পনা করেছি। ইনশাআল্লাহ, তা বাস্তবায়ন করতে পারবো বলে আশা রাখি। এই মিলে কাটছে আমার বর্তমান জীবন।