০৩ মে ২০২০, ২১:১৬

অনলাইন ক্লাস-পরীক্ষা বাতিলের দাবি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের

  © ফাইল ফটো

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ‘১ সেমিস্টার ফি মওকুফ’ ও ‘অনলাইন ক্লাস-পরীক্ষা বাতিলে’র দাবি জানিয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ রবিবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ঐক্যের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়েছে।

তাদের পক্ষ থেকে সারাদেশের কমপক্ষে ১০ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রানালয়, ইউজিসি চেয়ারম্যান ও নিজ বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি বরাবর ইমেইলের মাধ্যমে এসব দাবির বিষয়ে জানিয়েছেন।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তামজিদ হায়দার চঞ্চল বলেন, সারা পৃথিবীতে করোনা মহামারি রূপ ধারণ করেছে। খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে এই মহামারিতে মৃতের সংখ্যা ২য় বিশ্বযুদ্ধের চেয়েও বেশি। আমাদের এই ছোট্ট দেশটিও করোনার বিষ থাবায় আক্রান্ত। কোটি কোটি লোক চাকরি হারা। ঘরে নেই লবন দিয়ে খাবার মত দু মুঠো ভাত। দেশ যখন এমন একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে ঠিক তখনই আমরা যারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী তাদের উপর মরা উপর বিষ ফোঁড়া হিসাবে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দেয়া নোটিশ গুলো।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের নোটিশ দিচ্ছে অনলাইন ক্লাস আর পরীক্ষাগুলোতে অংশ নিতে হবে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আবার চাপ দিচ্ছে বকেয়া টিউশন ফি জমা দেয়ার। আমরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ঐক্য ছাত্রদের পক্ষ থেকে বলতে চাই, অনলাইন কোর্স রেজিস্ট্রেশন হলো লকডাউন খুললে সেমিস্টার ফি নেয়ার একটি ফাঁদ।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী এ্যানি সেন বলেন, যেখানে দেশের সব জায়গায় এখনো ঠিকমত নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়না সেখানে ইউজিসি থেকে ‘অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষা নেয়ার নির্দেশ’ দেয়াটা হটকারি সিদ্ধান্ত। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১০৫টির মতো। অথচ সারাদেশে মাত্র ৪/৫টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ক্লাস করার মত সক্ষমতা আছে।

এ শিক্ষার্থী বলেন, করোনা প্রকোপ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত লকডাওনের ফলে প্রচুর শিক্ষার্থী গ্রামে অবস্থান করছে। দুর্বল নেটওয়ার্ক ও প্রয়োজনীয় ডিভাইস না থাকার ফলে অনলাইন ক্লাসে অংশ নেয়াটা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের বিরাট একটি অংশ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যেখানে মানুষ টাকার অভাবেই খেতে পারছেনা সেখানে প্রতিদিন অনলাইন ক্লাসের পেছনে ১০০ টাকা ব্যায় করাটা অসম্ভব। আর তাই অবিলম্বে অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি আমরা।