০৩ মে ২০২০, ১৬:১৬

৬ মাসের জন্য ‘টিউশন ফি’ মওকুফের চিন্তা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর

  © ফাইল ফটো

করোনাভাইরাসের কারণে কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে গোটা দেশ। এ অবস্থায় সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রয়েছে। সে আলোকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েরও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে ক্ষতি হচ্ছে দাবি করে সরকারের কাছে তা কাটিয়ে উঠতে প্রণোদনা প্যাকেজ চেয়েছে তারা।

গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। পরে কয়েক ধাপে তা ৫ মে পর্যন্ত বেড়েছে। গত ২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে থেকে টিউশন ফি না নিয়ে যাতে অন্তত ছয় মাস শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করা যায় সেজন্য এমন আবেদন করেছে তারা। ২৫ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর স্বার্থে এ দাবি করা হয়েছে। গত বুধবার এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সংস্থা- এপিইউবি।

চিঠিতে বলা হয়েছে, তাদের মূল আয়ের উৎস শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি। করোনার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকায় কোনো টিউশন ফি আদায় করতে পারছে না। আয়ের আরেকটি বড় উৎস ভর্তি। কিন্তু ইউজিসির নির্দেশনায় ভর্তিও বন্ধ রয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তহবিল সংকট বাড়ছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কিস্তিতে তিন বছরের মধ্যে গ্রহণ করা অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা। এপিইউবির চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন বলেন, ‘করোনার কারণে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব হুমকির মুখে। এ অবস্থায় আমরা ইউজিসির কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাব বলে আশা করছি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা টাকার পরিমাণ উল্লেখ করিনি। কারণ আমরা এর আনুমানিক হিসাব করছি।’

এ ব্যাপারে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা চিঠিটি পেয়েছি। শিগগির আমরা সেটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো।’ তিনি জানান, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ইউজিসির শীর্ষ কর্মকর্তা, সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও এপিইউবির নেতাদের সভায় গত বৃহস্পতিবার এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ব্যাপারে মন্ত্রী বলেছেন, পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন তিনি।

ইউজিসির ভারপ্রাপ্ত সচিব ফেরদৌস জামান জানান, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সংকট চলাকালীন শিক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবকদের টিউশন ফি’র জন্য কোন চাপ দেবে না। আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বেতন নিয়মিত পরিশোধ করবেন শিক্ষক-কর্মচারীদের।