প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলেও ছুটি মেলেনি গবি শিক্ষকদের
সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্তের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়েও (গবি) ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞপ্তিতে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করলেও অন্যান্য সকল কার্যক্রম যথারীতি চালু রাখার কথা বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী সকল শিক্ষার্থী ছুটি পেলেও ছুটি মেলেনি গবির প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকবৃন্দের।
বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) দুপুরে সরেজমিনে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, শিক্ষকরা তাঁদের নির্ধারিত অফিস রুমে বসে আছেন। কেউ কেউ একাডেমিক কাজে ব্যস্ত, কেউবা আবার পত্রিকা কিংবা বই পড়ে অলস সময় পার করছেন। তবে দেশে করোনার প্রভাব বিস্তারে শিক্ষকদের মাঝে চিন্তার ছাপ লক্ষ্যণীয় ছিল। কিন্তু ছুটি না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে অফিস করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
সারাবিশ্ব এখন করোনাভাইরাস মহামারিতে আক্রান্ত। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও হানা দিয়েছে এ ভাইরাস। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দেশে করোনায় একজনের মৃত্যু এবং ১৭ জন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। ভয়াবহ পরিস্থিতি এড়াতে এর আগে সরকার ৩১ মার্চ পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।
শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটির ব্যাপারে জানতে চাইলে ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) মো. নজরুল ইসলাম রলিফ বলেন, ‘আমরা শনিবার প্রশাসনের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো। শিক্ষকদের কেন এখনো ছুটি দেয়া হয়নি, সে ব্যাপারে তাদের যুক্তি জানতে চাইবো’।
সাম্প্রতিক সময়ে করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মাহবুবা খাতুন। করোনার ভয়াবহতা এড়াতে শিক্ষকদের ছুটি দেয়া প্রয়োজন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'করোনার কারণে সারাবিশ্বে এখন ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। যেহেতু এই ভাইরাসটির এখনো কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি, সেজন্য যদি দেশের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা না থাকে তাহলে সকলকে নিরাপদে বাসায় অবস্থান করাই শ্রেয় বলে মনে করি।'
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। সরকার প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা বললেও অফিস বন্ধের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। এ বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা পেলেই শিক্ষকেরা ছুটি পাবেন’।