ভালোবাসা দিবসে লিভার দিয়ে মাকে বাঁচালেন শরিফুল
দিনটি ছিলো ১৩ ফেব্রুয়ারি, ভালোবাসা দিবসের একদিন আগেই মায়ের প্রতি ভালোবাসার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী এবং সুপ্রিম কোর্ট ও ঢাকা বারের আইনজীবী শরিফুল ইসলাম।
জানা যায়, শরিফুলের মায়ের সুস্থতার জন্য দরকার লিভার প্রতিস্থাপন। তাৎক্ষণিক কোন কিছু না ভেবেই নিজের লিভারের কিছু অংশ মাকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন শরিফুল। ডাক্তার প্রথমে একটু চিন্তিত হলেও মায়ের প্রতি শরিফুলের ভালোবাসা দেখে লিভার প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিলেন। গত (১৩ ফেব্রুয়ারি) বারডেম হাসপাতালে কয়েক ঘন্টার প্রচেষ্টায় একটি সফল অপারেশনের মাধ্যমে জীবন যুদ্ধে পরাজিত হতে যাওয়া মাকে জিতিয়ে দিলেন শরিফুল।
ইতোমধ্যে এ বিষয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে পোষ্ট করা হয়েছে। তারপর থেকেই মায়ের প্রতি শরীফের এমন ভালবাসা ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এদিকে ইয়াসির আরাফাত নামে একজন লিখেছেন, এমন দৃশ্য সাধারণত আমরা দেখিনা। বরং সব সময়ে মাকে সন্তানের বিপদে এগিয়ে আসতে দেখি। এবার সন্তান মায়ের জন্য এগিয়ে এসেছেন। শরীফ সবার জন্য উদাহরণ।
সাংবাদিক রিপন দে তার ফেইসবুকে বিষয়টি মায়ের দেওয়া শিক্ষা উল্লেখ করে লিখেছেন, “এই পৃথিবীতে সন্তানের জন্য একমাত্র মা জীবন দিতে পারেন এবং নিশ্চিত মৃত্যুর ঝুঁকি নিতে পারেন। তবে শরিফুল ইসলাম সেই গর্বিত সন্তান যে মৃত্যুঝুঁকি নিয়েও হাসতে হাসতে নিজের শরীরের অর্ধেকের বেশী লিভার মৃত্যু পথযাত্রী মাকে দিয়েছেন।
আপনি গর্বিত মায়ের সন্তান। আপনার মাকে স্যালুট । সন্তানকে তিনি মানবিক শিক্ষায় বড় করেছেন, স্বার্থপর হবার শিক্ষা দেননি। ছোট বেলায় মা যদি সন্তানকে শিক্ষা দেন, ‘এর সাথে মিশবিনা তার সাথে টিফিনের খাবার ভাগাভাগি করবিনা। কেউ কলম চাইলে দিবিনা, বস্তির ছেলের পাশে বসবিনা।’ সেই মায়ের সন্তান এত স্বার্থপর হয়ে বড় হবে যে, মাকে বৃদ্ধাশ্রমে দিয়ে আসবে। কারণ এই স্বার্থপর চিন্তা মা নিজেই শিখিয়েছেন ।”