১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১২:০৯

অবশেষে স্থায়ীভাবে হল ছাড়ছেন আইআইইউসি শিক্ষার্থীরা!

  © টিডিসি ফটো

অনির্দিষ্টকাল বন্ধ থাকা অবস্থায় এবার স্থায়ীভাবে হল ছাড়ছেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনের ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীরা হল থেকে তাদের আসবাবপত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।

আসবাবপত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাসের ব্যবস্থা করেছে। মোট চারটি রুটে বাসের ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রুটগুলো হচ্ছে চকবাজার, আগ্রাবাদ, বহদ্দারহাট এবং মিরসরাই।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিফটিং পদ্ধতিতে হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা। দু’টি হলের মধ্যে আজ হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু হলের শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য আগে থেকে জানানো হয়েছে। গতকাল ও আজ হযরত আবু বকর (রাঃ) হলের প্রথম এবং দ্বিতীয় ফ্লোর সকাল দশটায়, তৃতীয় ফ্লোর ১২টায় দুইটায় ও এই হলের বাকি পঞ্চম এবং চতুর্থ ফ্লোর খালি করা হবে বলে জানিয়েছেন হল ম্যানেজমেন্ট কমিটির দায়িত্বশীলরা।

এছাড়াও ১৭ তারিখের মধ্যে হযরত ওসমান হলের প্রথম এবং দ্বিতীয় ফ্লোর সকাল দশটার মধ্যে, তৃতীয় ফ্লোর ১২টায় এবং ষষ্ঠ তলা দুপুর ২টায় খালি করা হবে। এছাড়া ১৮ তারিখের মধ্যে একই হলের চতুর্থ তলা দুপুর ৪টায় এবং সর্বশেষ পঞ্চম তলা বিকাল ৫টার মধ্যে খালি করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

অনির্দিষ্টকাল বন্ধ থাকা অবস্থায় হল খালি করার জন্য শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেওয়া হয়। হল শিফটিং এর জন্য আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যায়। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান প্রক্টর মোস্তফা মুনীর চৌধুরী জানান, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এবং সুন্দরভাবে আসবাবপত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছি। পুলিশ প্রশাসন এজন্যই বিশ্ববিদ্যালয় এসেছে।’

এদিকে দায়িত্বরত সীতাকুন্ড থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ হোসেন জানান, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা ক্যাম্পাসে এসেছি। আমরা এখনো গেটের বাইরে অবস্থান করছি এবং শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ রাখছি।’

উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি একজন আবাসিক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া যায় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নামধারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। পরে সংঘর্ষের আশঙ্কায় ২৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং সেখানে ছাত্রলীগের কোনো কমিটিও নেই।