২৯ জানুয়ারি ২০২০, ২২:১১

পুলিশ প্রহরায় ক্যাম্পাস ছেড়েছেন আইআইইউসির শিক্ষার্থীরা

  © টিডিসি ফটো

বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) এর শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত ৯টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ থাকায় শিক্ষার্থীরা হল ছেড়ে নিজ নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। এদিকে হঠাৎ করে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগ করতে বলায় অনেকেই দুর্ভোগে পড়ছেন।

রাতে হল ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ইউছুপ জামিল নামে আবু বক্কর (রা.) হলের এক ছাত্র। তিনি বলেন, তার বাড়ি কিশোরগঞ্জে। তিনি হল ছাড়ার নোটিশ দেখতে পেয়েছেন সন্ধ্যা ছয়টায়। শীতের রাত কীভাবে বাড়ি পৌঁছাবেন, তা বুঝতে পারছেন না। কর্তৃপক্ষ একদিন সময় দিলে তারা নিরাপদে যেতে পারতেন। এছাড়া পিতামাতা শুনলে দুশ্চিন্তা করবেন। এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার বলেন, ছাত্রদের কিছুটা দুর্ভোগ হবে সত্যি। তবুও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের চট্টগ্রাম নগরে পৌঁছে দেবে।

এর আগে এক ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান করায় দিনভর উত্তেজনা বিরাজ করে ক্যাম্পাসে। কোন সমাধানে আসতে না পারায় পরিস্থিতি শান্ত করতে বিকালে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে রাত ৯টার মধ্যে ছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় প্রশাসন।

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন মোল্লা বলেন, কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি যেন না হয়, সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সব ছাত্র হল ছাড়ার পর পুলিশ তুলে নেওয়া হবে।

হামলার ঘটনায় জড়িতেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কে. এম গোলাম মহিউদ্দীন। তিনি বলেন, আমাদের একটি প্রসিডিওর আছে। প্রক্টরিয়াল টিম থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর আমরা সিন্ডিকেট মিটিংয়ে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওসমান (রা.) হলে রড, লাঠি ও স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয় আদনান নামের এক শিক্ষার্থীকে। নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থী কুরআনিক সাইন্সেস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র। আর মারধরে অংশ নেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী উ চো মারমা, রবিউল ইসলাম রনি, শফিউল ইসলাম, অনিক ও মৃদুল।