ছাত্র মারধরের ঘটনায় থমথমে আইআইইউসি ক্যাম্পাস
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২০, ০৩:২০ PM , আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২০, ০৫:২৮ PM
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) এক ছাত্রকে মারধরের প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। ফলে ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল থেকেই হামলার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে জড়ো হন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি দিতে গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের বাঁধা দেন। সেখানে উভয়পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে।
এসময় ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেন। স্মারকলিপি দেওয়া শেষে তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনেই অবস্থান নেন। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা সেখানেই অবস্থান করছেন।
অবস্থান নেয়া শিক্ষার্থীরা বলছেন, ক্যাম্পাসে একজন শিক্ষার্থীর মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। বিনা কারণে মারধরের শিকার হচ্ছে তারা। ক্যাম্পাসে যতক্ষণ পর্যন্ত প্রশাসন সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে না ততক্ষণ তারা প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান করবেন।
হামলার বিচারের বিষয়ে আইআইইউসির উপাচার্য অধ্যাপক কে. এম গোলাম মহিউদ্দীন বলেন, আমাদের একটি প্রসিডিওর আছে। প্রক্টরিয়াল টিম থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর আমরা সিন্ডিকেট মিটিংয়ে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রক্টরিয়াল টিম কাজ করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির হলেও আমাদের হল আছে। হল থাকার কারণে এমন ঘটনা ঘটে। সারা দেশেই এমন ঘটনা ঘটছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহ থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দিলে আমরা এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিব।
প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওসমান (রা.) হলে রড, লাঠি ও স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয় আদনান নামের এক শিক্ষার্থীকে। নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থী কুরআনিক সাইন্সেস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র। আর মারধরে অংশ নেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী উ চো মারমা, রবিউল ইসলাম রনি, শফিউল ইসলাম, অনিক ও মৃদুল।