শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ: রাষ্ট্রপতি

  © সংগৃহীত

রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য অন্যতম বড় একটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের শুধু পাঠ্যপুস্তক অধ্যয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। পাঠ্যবিষয়ের সাথে সাথে বহির্জগতের জ্ঞানভান্ডার থেকেও জ্ঞান আহরণ করতে হবে। শনিবার বিকেলে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির উন্নয়ন, উন্নত সমাজ গঠন ও বিশ্বমানের গ্রাজুয়েট তৈরির লক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুণগত মান, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা জরুরি। তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা মাথায় রেখে সরকার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর। উচ্চশিক্ষা যাতে কোনক্রমেই সনদসর্বস্ব না হয় তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুন উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপার্সন তামারা হাসান আবেদ, ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ভিনসেন্ট চ্যাং ও কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্রী অরিত্র রায় আর্চ। সমাবর্তনে মোট ৩ হাজার ২৫০ শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয়ে গ্রাজুয়েট ডিগ্রী লাভ করে। এদের মধ্যে চারজন স্বর্ণ পদক পেয়েছে।

সমাবর্তন বক্তা জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি-মুনকে বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতিসংঘের অষ্টম মহাসচিব হিসেবে আপনি বিশ্ব শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য, জ্বালানি ও পানিসহ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় বিশ্ব নেতাদের উদ্যোগী করতে আপনার পদক্ষেপগুলো প্রশংসনীয়।

শিক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা মাথায় রেখে সরকার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর। তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার জন্য গ্রাজুয়েটদের প্রতি আহ্বান জানান।

গ্রাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘শিক্ষিত হয়ে তোমরা কর্মজীবনে প্রবেশ করবে। মনে রেখ, জ্ঞান, শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা অর্জনের কোন শেষ নেই।’ তিনি দেশের কল্যাণে নিজেদের জ্ঞান ও প্রজ্ঞা কাজে লাগাতে গ্রাজুয়েটদের পরামর্শ দেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে তোমাদের কাছে জাতির অনেক প্রত্যাশা। তোমরা তোমাদের প্রতিভা ও কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরবে।


সর্বশেষ সংবাদ