আহছানউল্লাহর সেই দুই শিক্ষক-শিক্ষিকার পদত্যাগ
অবশেষে পদত্যাগ করেছেন অশ্লীল ভিডিওর সাথে জড়িত আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালেয়ের দুই শিক্ষক। অশ্লীল ভিডিওটির বিষয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। বিভিন্ন মহলের সমালোচনার মুখে অভিযুক্ত দুই শিক্ষক মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগ করা একজন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া অনৈতিক কাজে লিপ্ত দুই শিক্ষককে নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে বরখাস্ত অথবা বহিষ্কার না করায় বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিল। অভিভাবকরা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন মন্তব্য করেছেন, ‘এমন ঘৃণ্য কাজের পরও তারা কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থাকেন?’ তবে, বিশ্ববিদ্যালয়টির অভিভাবক ও ভারপ্রাপ্ত ভিসি ড. কাজী শরিফুল আলমের মতে বিষয়টি ‘নিতান্তই ব্যক্তিগত’ এবং একপক্ষ থেকে অভিযোগ আসা একটি ঘটনা মাত্র।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিসির কাছে সিডিতে পর্ন ভিডিওর কপিসহ লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের আবেদনের প্রেক্ষিতে একমাস করে ছুটি দেয়া হয়।
এর আগে শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন পর্ন তৈরিতে অভিযুক্ত নারী শিক্ষকের স্বামী। ডায়েরিতে তিনি উল্লেখ করেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে তার বাসার গেটে একটি সাদা খাম দেখতে পান। খাম খুলে দেখা যায় একটি সিডি। সিডি চালিয়ে দেখেন তার শিক্ষক স্ত্রী অপর এক পুরুষ লোকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন পুরুষ ওই লোকটি আহছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী অধ্যাপক।
জানা গেছে, অভিযুক্ত পুরুষ শিক্ষকের স্ত্রীও ওই ভিডিওটি দেখেছেন এবং সত্যতা যাচাইয়ের পর তার শিক্ষক স্বামীকে তালাক দিয়েছেন। পর্ন ভিডিওতে অভিযুক্ত নারী শিক্ষক আহছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেয়ার আগে বিতর্কিত দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন বলে জানা যায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট। জানা যায়, অভিযুক্ত নারী শিক্ষকও কয়েকদিন আগে তার স্বামীকে তালাকনামা পাঠিয়ে দেন। আর অভিযুক্ত পুরুষ শিক্ষকটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট।
জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত ভিসি ড. কাজী শরিফুল আলম বলেন, ‘ভিডিওটি আমাদের হাতেও এসেছে। বিষয়টি তাদের ব্যক্তিগত এবং তদন্ত ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছে না।’ ভারপ্রাপ্ত ভিসি আরও বলেছিলেন, ‘অনৈতিকতার প্রশ্ন আসে না। বিষয়টি তাদের ব্যক্তিগত। একপক্ষ অভিযোগ করেছে মাত্র। নৈতিক-অনৈতিক কীভাবে বলি?’