‘আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভাস্বর হবে ইস্ট ডেল্টার পদচারণা’
ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। যুক্ত হয়েছে নানা নতুন ও মৌলিক প্রোগ্রাম যা আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমাদের পদচারণাকে ভাস্বর করে তুলবে, শিক্ষার্থীদের মানকে উন্নীত করবে অনন্য উচ্চতায়। কেননা, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম বা বাংলাদেশের গণ্ডিতে আবদ্ধ নয়, তারা বিশ্বনাগরিক।
ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে (ইডিইউ) বিজনেস ফেয়ার সামার ২০১৯ এর পুরস্কার বিতরণী পর্বে অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান।
বুধবার বিকেল ৫টায় মেলার পুরস্কার বিতরণী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান এবং মেলার গেস্ট অব অনার বিএসআরএম এর পরিচালক সাবিন আমীর ফিতা কেটে দিনব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করেন।
‘এংগেজিং মাইন্ডস, এমপাওয়ারিং সাক্সেস’ এই শিরোনামে তরুণ উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করে তুলতে ইডিইউ স্কুল অব বিজনেস বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে এ প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে।
অনুষদকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপাচার্য সিকান্দার খান বলেন, প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের মেধাকে শাণিত করে। এ ধরণের প্রতিযোগিতাগুলো উজ্জ্বল মেধাবীদের নতুন নতুন চিন্তাকে তুলে আনতে সক্ষম। এ আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিজনেস ফেয়ার উপলক্ষে ইডিইউতে পড়ুয়া তরুণ উদ্যোক্তারা হরেক রকমের পণ্যের পসরা নিয়ে অংশ নেয় এ মেলায়। মোট ৪১টি দল নিজেদের প্রস্তুতকৃত রকমারি জিনিসপত্র-খাবার বিক্রি করে। এসময় অতিথি, শিক্ষার্থীসহ মেলার দর্শনার্থীরা স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন, কিনে নেন নিজেদের পছন্দের পণ্যটি।
স্কুল অব বিজনেসের সহকারী অধ্যাপক তাবাসসুম চৌধুরীর নেতৃত্বে পুরো আয়োজনটি সমন্বয় করেন সহকারী অধ্যাপক ফাহমিদা আক্তার, প্রভাষক রওনক আফরোজ ও দেওয়ান মেহরাব আশরাফী।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে স্কুল অব বিজনেসের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মোহাম্মদ রকিবুল কবিরের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য সাজিয়া আবদুল্লাহ, মহাপরিচালক সৈয়দ শফিকউদ্দীন আহমেদ, ট্রেজারার অধ্যাপক সামস উদ-দোহা, রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়াসহ ফ্যাকাল্টি মেম্বার, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
মেলায় দারুণ আইডিয়া ও পেশাদারীত্বের পরিচয় দেওয়া তিনটি দলকে পুরস্কৃত করা হয়। তৃতীয় স্থান লাভ করে পেইন্টিংস ও নানা হাতে তৈরি সামগ্রী নিয়ে মেলায় অংশ নেয়া ‘পেইন্টাফটস’ দল, দ্বিতীয় স্থান লাভ করে অপ্রয়োজনীয়, নষ্ট হয়ে যাওয়া বা ফেলে দেয়া বিভিন্ন জিনিসপত্র দিয়ে সাউন্ডসিস্টেম-রেডিওর মতো পণ্য তৈরি করা দল ‘রিসাইকেল বিন’, এবং পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ রেখে মানসম্পন্ন খাবার প্রস্তুত ও পরিবেশনকারী দল ‘দি ওভেন’ ১ম স্থান অধিকার করে।