বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্য নির্ভর করে গবেষণায়
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি ও সাফল্য নির্ভর করে গবেষণার উপর। আর এই দায়িত্ব প্রধানত বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের। কিন্তু গবেষণাপত্র যদি ভালো মানের জার্নালে প্রকাশ না হয়, তবে বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষকের কাঙ্খিত সাফল্য ও সুনাম বয়ে আসে না।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের সঙ্গে এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন ইডিইউর আমন্ত্রণে মালয়েশিয়া থেকে আসা অধ্যাপক ড. আযিলাহ বিন্তি কাসিম ও সহযোগী অধ্যাপক ড. হিশাম বিন জাকিরিয়া।
‘পাবলিকেশন ইন হাই ইম্প্যাক্ট জার্নাল’ শিরোনামের এ কর্মশালায় তারা গবেষণাপত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে ভালো মানের জার্নালের ভূমিকা ও প্রয়োজনীতা নিয়ে আলোচনা করেন।
এ দুই অভিজ্ঞ গবেষক বলেন, গবেষণালব্ধ অর্জন মানুষের কাছে পৌঁছানোর উপায় হলো ভালো মানের জার্নালে প্রকাশনা। এতে গবেষণালব্ধ জ্ঞানের গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে। কেননা, এ ধরণের জার্নালগুলো পরিমাণের চেয়েও প্রকাশনার মানে অধিকতর গুরুত্ব দেয়। এক্ষেত্রে ভালো মানের জার্নাল চেনার উপায় এবং প্রকাশনার জন্য করণীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন তারা।
এছাড়া স্কোপাস এবং ওয়েব অব সায়েন্স অধিভুক্ত জার্নালে প্রকাশনা একজন গবেষক এবং সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিংয়ে ভালো অবস্থানের ক্ষেত্রে কী ভূমিকা রাখে এবং তা কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সে বিষয়ে বিষদ আলোচনা করেন। এসময় তারা অংশগ্রহণকারী গবেষকদের বিভিন্ন খুঁটিনাটি জিজ্ঞাসার উত্তর দেন।
এ কর্মশালা আয়োজনের জন্য ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে তারা বলেন, এ ধরণের কর্মশালা জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরেই প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি উতারা মালয়েশিয়া। সেখানকার দু’জন ফ্যাকাল্টিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি তাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাগুলো আমাদের ফ্যাকাল্টি ও অ্যাডমিন মেম্বারদের জানাতে। এর ফলে গবেষণানির্ভর বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠার যে লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, সেক্ষেত্রে সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি পাবে।