২৯ মে ২০১৯, ১৭:৪০

ইস্ট ডেল্টায় ঈদবস্ত্রের জন্য অর্থসংগ্রহ

  © টিডিসি ফটো

আর ক’দিন বাদেই ঈদ উল ফিতর। মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসবগুলোর মধ্যে যা সবচেয়ে আকাক্ষিত ও আনন্দময়। কিন্তু সেই আনন্দ উদযাপনের আর্থিক সক্ষমতা নেই সমাজের একটি শ্রেণীর মানুষের। তাই সমাজের কাউকে না কাউকে এই বঞ্চিতদের মুখে আনন্দের হাসি ফোটানোর দায়িত্ব নিতে হয়।

প্রতি বছরের মতো এবারও দুস্থ শিশুদের ঈদবস্ত্র ও খাদ্যসামগ্রী দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে অর্থসংগ্রহ কর্মসূচি পালন করছে ক্লাবটির সদস্যরা। ‘এই ঈদে হয়ে ওঠো অন্যের হাসির কারণ’ এই স্লোগানে ২৬ থেকে ২৯ মে এই চারদিন বিশ্ববিদ্যালয়টির ফ্যাকাল্টি মেম্বার, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং ইডিইউভিয়ান তথা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকা সংগ্রহ করা হয়।

ইডিইউর স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টার‌্যাকশন জোনের এক প্রান্তে প্রতিদিনই সকাল থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত সোশ্যাল সার্ভিস ক্লাবের সদস্যদের কেউ না কেউ সহযোগিতার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করতো অন্য শিক্ষার্থীদের।

ক্লাবটির কনভেনার প্রশান্ত ভৌমিক বলেন, যারা সচ্ছল তারা প্রত্যেকে নিজে এবং তাদের পরিবারের অন্য সদস্যরাও একাধিক দামি পোশাক কিনে থাকে। যদি এই প্রতিটি পোশাক থেকে ন্যূনতম একটা অংশ তারা অন্যের জন্য ব্যয় করে, তাহলে ঈদের আনন্দ বঞ্চিত অনেক শিশুর মুখেই হাসি ফুটবে। আমরা এই হাসির কারণ হয়ে উঠতে কাজ করছি, অন্যদেরও উদ্বুদ্ধ করছি।

ক্লাবটির ফ্যাকাল্টি অ্যাডভাইজর সহকারী অধ্যাপক ফাহমিদা আক্তার বলেন, ইডিইউ সোশ্যাল সার্ভিস ক্লাব সারা বছরই সমাজসেবামূলক নানা ধরণের কাজ করে থাকে। প্রতিবারের মতো এবারও আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছি সকলের।

ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ক্লাস-সেমিনারের মতো অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি ক্লাব সক্রিয়তার উপর জোর দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ১৩টি ক্লাব তাদের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছে যা শিক্ষার্থীদের মেধা ও নেতৃত্বগুণ বিকাশের মাধ্যমে তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলছে। এর ফলে ইডিইউর শিক্ষার্থীরা চিন্তায় ও কাজে বিশ্বে অবদান রাখতে পারবে। বিজ্ঞপ্তি