২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:০৫

দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির বক্তব্য

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি  © টিডিসি সম্পাদিত

গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসে প্রকাশিত ‘ড্যাফোডিলের হল পরিচালনায় ট্রাস্টি বোর্ড চেয়ারম্যানের নিজস্ব কোম্পানি, বছরে ব্যবসা আনুমানিক ৩৫ কোটি টাকা’ শীর্ষক প্রতিবেদন নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগ থেকে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ‘ক্রিয়েটিভ ইন্টারন্যাশনাল’ নামের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটির দীর্ঘদিনের অবদান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়নি বলে এতে উল্লেখ করা হয়। 

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ২০০৩ সাল থেকে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে, কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ফান্ড ব্যবহার না করে, শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ও মানবিক আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি আবাসিক হল পরিচালনা করে আসছে। দীর্ঘ সময় ধরে বিপুল পরিমাণ ব্যাংক ঋণ গ্রহণ, আর্থিক ঝুঁকি বহন এবং নিয়মিত পরিচালন ব্যয় নির্বাহের মাধ্যমে এই সেবাটি অব্যাহত রাখা হয়েছে, যা একটি দায়িত্বশীল ও সাহসী উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত।

বক্তব্যে দাবি, বর্তমানে দেশের অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল ব্যবস্থাপনা সাধারণত পৃথক বা স্বতন্ত্র কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিচালিত হলেও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের বসবাসের আবাসিক হলসমূহ সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় বেশ কিছু কর্মকাণ্ড। ফলে শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা, নীতিমালা ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণসংক্রান্ত সিদ্ধান্তসমূহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে গ্রহণ করা হয়; যা একদিকে মনিটরিং অন্যদিকে উন্নয়ন ঘটানোর লক্ষ্যে পরিচালিত। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরল তুলনার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপট হিসেবে বিবেচিত হওয়া প্রয়োজন।

আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, এই ধরনের ইতিবাচক উদ্যোগসমূহ যথাযথ প্রেক্ষাপটে উপস্থাপিত হলে তা শুধু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান নয়, বরং দেশের উচ্চশিক্ষা খাতের জন্যও অনুপ্রেরণামূলক বার্তা বহন করে।

প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটির ভেতরে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পাশাপাশি প্রায় ১৫টি প্রতিষ্ঠান এবং ৫টি তৃতীয় পক্ষের মালিকানাধীন জমি ও স্থাপনা রয়েছে, যেগুলোর সুবিধা শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে ভোগ করে আসছে। এই সমন্বিত ব্যবস্থার কারণেই একটি বিস্তৃত, নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ গড়ে উঠেছে।

এই বিষয়ে বিভ্রান্তিকর বা ভুল সংবাদ ভবিষ্যতে গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে—বিশেষ করে এই গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহার অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে। উল্লেখযোগ্য যে, তৃতীয় পক্ষ ব্যতীত অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে কোনো ভাড়া বা আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে না। সম্পূর্ণ ব্যবস্থাটি শিক্ষার্থীদের কল্যাণ ও একটি সমন্বিত ক্যাম্পাস পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, এই হলগুলো প্রতিষ্ঠা করতে ব্যাংক থেকে কয়েক শত কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করতে হয়েছে এবং এই ঋণের সুদ, কিস্তি ও আর্থিক দায়ভার আজও বহন করা হচ্ছে; প্রতিদিন নিরাপত্তা, বিদ্যুৎ, পানি, রক্ষণাবেক্ষণ, স্টাফ বেতন ও জরুরি সেবায় বিপুল ব্যয় হচ্ছে; এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কেবলমাত্র শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সুবিধার কথা বিবেচনা করে, কোনো তাৎক্ষণিক মুনাফার জন্য নয় এবং এই বাস্তবতাগুলো উপেক্ষা করে একটি শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক মানবিক উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করা সত্যিই অত্যন্ত আহতকারী।

    সংবাদের প্রতিবাদ বক্তব্যে আরও বলা হয়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সর্বদা গঠনমূলক সমালোচনা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্মান করে এবং গণমাধ্যমকে উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে। একই সঙ্গে আমরা প্রত্যাশা করি যে, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান-সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে একটু সময় নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের বক্তব্য অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে সংবাদটি আরও ভারসাম্যপূর্ণ ও তথ্যসমৃদ্ধভাবে উপস্থাপিত হবে।

    প্রতিবেদকের বক্তব্য
    সরেজমিন প্রাপ্ত তথ্য, কর্মকর্তা, বেশ কিছু শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সংশ্লিষ্টদের তথ্য ও বক্তব্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এখানে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস রিপোর্টারের নিজস্ব কোনো বক্তব্য বা তথ্য দেওয়া হয়নি। তাছাড়া প্রতিবেদনে উল্লেখিত বিষয়গুলোর স্বপক্ষে যথাযথ ডকুমেন্ট ডেইলি ক্যাম্পাসের হাতে রয়েছে।