১১ নভেম্বর ২০২৫, ২১:১২

শ্রেণিকক্ষ পেরিয়ে উদ্ভাবনের পথে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা

সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি অংশ নেন ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপিডিশন ২০২৫-এ  © সংগৃহীত

প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি অংশ নেন ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপিডিশন ২০২৫-এ। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরে (আইটিবিআই) ৮ থেকে ১০ নভেম্বর তিন দিনব্যাপী এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল শ্রেণিকক্ষের সীমা পেরিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে–কলমে শেখার সুযোগ করে দেওয়া। সেখানে তারা কাছ থেকে দেখেছেন, কীভাবে জ্ঞান, প্রযুক্তি ও সৃজনশীলতা একসঙ্গে কাজ করে বাস্তব জীবনের উদ্ভাবনে রূপ নেয়। কেউ শিখেছেন নতুন প্রোগ্রামিং কৌশল, কেউ ডুব দিয়েছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতে, আবার কেউ জানার চেষ্টা করেছেন স্টার্টআপ গড়ে তোলার পথ।

পুরো অভিযাত্রাটি পরিচালনা করেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোস্তফা কামাল সাগর ও নাফিয়া মল্লিক। তাদের আন্তরিক দিকনির্দেশনায় প্রতিটি সেশন পরিণত হয়েছে একেকটি জীবন্ত অভিজ্ঞতায়, যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করেছেন, ভেবেছেন, আর নিজের ধারণাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার উপায় খুঁজেছেন।

ইভেন্টে অনুষ্ঠিত হয় একাধিক আকর্ষণীয় সেশন—চুয়েট এনএলপি ল্যাবের ফেলো মো. রেফাজ হাসান নেন ‘Python Programming and Its Applications’ কর্মশালা; চুয়েটের অধ্যাপক ও আইটিবিআই–এর পরিচালক প্রফেসর ড. এম মশিউল হক ও ড. রানা শরীফ আলোচনা করেন ‘Artificial Intelligence: Future of the Next Generation’ বিষয়ে; পোর্টওয়েস্ট লিমিটেডের মো. ইফতেখারুল ইসলাম নেন ‘Cyber Security Workshop’; স্টার্টআপ চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা আরাফাতুল ইসলাম আকিব কথা বলেন ‘Startup and Seed Funding Project’ নিয়ে; আর ডিলিগাইট লিমিটেডের মো. রঞ্জু মিয়া হাতে–কলমে শেখান ‘Developing a Website in One Day’।

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের ডিন ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. শাহিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, জ্ঞান তখনই পূর্ণতা পায়, যখন সেটি অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিশে যায়। এ ধরনের কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের শেখায় কীভাবে ধারণা বাস্তব সমাধানে রূপ নিতে পারে এবং ভবিষ্যতের প্রযুক্তিনেতা হিসেবে গড়ে উঠতে হয়।’

তিনি চুয়েটের প্রফেসর ড. এম মশিউল হকের সহযোগিতা ও আতিথেয়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান এবং বলেন, এমন উদ্যোগ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক আরও গভীর করে।

ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপিডিশন ২০২৫ শিক্ষার্থীদের কাছে ছিল এক অনুপ্রেরণার যাত্রা—যেখানে শেখা ছিল আনন্দের, আর উদ্ভাবন ছিল গন্তব্য।