গাজার মানুষের জন্য ত্রাণ পাঠাল গ্রিন ইউনিভার্সিটি
গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের মুহূর্তে সহায়তার হাত বাড়াল গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। সম্প্রতি ইসরায়েল হানাদার বাহিনীর আক্রমণে দেশটি মাটির সাথে মিশে গেছে। মানুষের বসবাসের স্থান থেকে শুরু করে সব কিছুকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল বাহিনী। শুধু তাদেরকে তাদের নিজ ভূমি থেকে উৎখাত করেই শান্ত থাকেনি, বহিঃবিশ্ব থেকে আগত ত্রাণ যেন তাদের কাছে পৌঁছতে না পারে সেজন্য গাজার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন বর্ডার পর্যন্ত দখল করে রেখেছে ইসরায়েল জান্তা বাহিনী।
তারপরেও পৃথিবীর প্রতিটি দেশ থেকে জাতিসংঘের সহযোগিতায় প্রতিনিয়ত একের পর এক ত্রাণবাহী গাড়ী গাঁজায় প্রবেশ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের প্রথম কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গাজার যুদ্ধ বিধ্বস্ত অঞ্চলে ত্রাণ সহযোগিতা পাঠাল। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে সংগৃহীত ত্রাণ হাফেজি চ্যারিটেবল সোসাইটি অফ বাংলাদেশের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত এ অঞ্চলে।
শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, এ উদ্যোগ শুধু মানবিক দায়বদ্ধতা নয়, বরং তাদের জন্য গর্বের বিষয়। গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গাজার অসহায় মানুষের জন্য ত্রাণ পাঠানো হয়েছে, এটা আমাদের জন্য এক ধরনের প্রেরণা। আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষা শুধু ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং মানবিকতায়ও প্রকাশ পায়। গাজার শিশু ও মানুষের কষ্ট আমাদের ব্যথিত করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এ কার্যক্রম আমাদেরকেও উদ্বুদ্ধ করছে ভবিষ্যতে মানবিক কাজে আরও বেশি সম্পৃক্ত হতে।’
শুধু গ্রিন ইউনিভার্সিটি নয় দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় কে এগিয়ে আসতে হবে এ ধরনের সহায়তামূলক কাজে। মানবিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে একজন মানুষ আরেকজন মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক কর্তব্য বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা৷