নর্দান ইউনিভার্সিটিতে নজরুলের সাহিত্যকর্মের বহুমাত্রিক বিশ্লেষণ
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে ‘নজরুল বিষয়ক’ সেমিনার আয়োজন করেছে নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার বাংলা বিভাগের আয়োজনে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম।
সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. মোস্তাফিজুর রহমান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, বাংলা বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
সেমিনারের প্রারম্ভে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বাংলা বিভাগের প্রভাষক ও কো-অর্ডিনেটর মো. জাহিদ হাসান।
প্রধান অতিথি ড. মোহাম্মদ আজমের বক্তৃতায় নজরুল প্রতিভার অসাধারণত্বের বহুমাত্রিক পর্যালোচনা উঠে আসে। ড. মোহাম্মদ আজম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কীভাবে কার্যকর ও গঠনমূলক উপায়ে কাজী নজরুল ইসলাম রচিত সাহিত্যকর্ম পাঠ ও বিশ্লেষণ করবে সেই বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি নজরুল প্রতিভার উন্মেষে দেশ-কালীন প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন এবং নজরুল ইসলামকে মূলত ২০ শতকের কবি বলে অভিহিত করেন। প্রাসঙ্গিকভাবে তিনি ৩০-এর কবিদের সঙ্গে কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিভার তুলনামূলক আলোচনা করেন।
সমকালে ও উত্তরকালে কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যের প্রাসঙ্গিকতা প্রসঙ্গে তিনি ওয়াল্টার বেঞ্জমিনের ‘আফটার লাইফ’ তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া তিনি নজরুল ইসলামকে ‘সমকালীন কবি’ বিশেষণে ভূষিত করেন।
তিনি বলেন, নজরুল বাংলা ভাষায় প্রথম হাজির করেন রৌদ্ররস তথা দ্রোহের তরঙ্গ।
ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জসিম উদ্দিন তার বক্তব্যে নজরুল সম্পর্কে প্রচলিত বক্তব্যসমূহ গ্রহণের পূর্বে গবেষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিচারমূলক দৃষ্টিভঙ্গি আরোপের পরামর্শ দেন এবং নজরুল গবেষণার নব নব ক্ষেত্র অনুসন্ধান করতে বলেন।
কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক নজরুলের মানবতাবাদী ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার আলোকে শিক্ষার্থীদের উজ্জীবিত হওয়ার আহ্বান জানান।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. মোস্তাফিজুর রহমান নজরুল গবেষণায় তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বাংলা বিভাগকে এই ধরনের তথ্যবহুল ও সমৃদ্ধ সেমিনার আয়োজনের জন্য অভিনন্দন জানান।