বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান পেলেন প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক নাঈম

অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলাম খান নাঈম
অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলাম খান নাঈম  © টিডিসি সম্পাদিত

আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা গবেষণা সংস্থা  অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স কর্তৃক প্রকাশিত র‌্যাংকিং এ বিশ্বসেরা ৫% বিজ্ঞানী ও বাংলাদেশের টপ ৩% কম্পিউটার বিজ্ঞানীদের মধ্যে স্থান পেয়েছেন প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলাম খান নাঈম।

এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স প্রতিবছর বৈজ্ঞানিক উপাত্ত, গুগল স্কলার সাইটেশন এবং ৯টি নির্ধারিত প্যারামিটারের ভিত্তিতে এই তালিকা প্রণয়ন করে। ২০২৪ সালের র‍্যাংকিংয়ে ২২০টি দেশের ২৪ হাজার ৩৬১টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৪ লাখ বিজ্ঞানী ও গবেষককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলের ডিন এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের হেড হিসাবে কর্মরত অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলাম খান নাঈমের একাধিক গবেষণা প্রবন্ধ ইতিমধ্যে  বিশ্বখ্যাত ‘জার্নাল অফ বিগ ডাটা’ নামক যুক্তরাজ্যের স্প্রিঞ্জার ন্যাচারের বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে যা কম্পিউটার সাইন্সে বিশ্বের প্রসিদ্ধ গবেষণা সাময়িকীগুলির অন্যতম। 

প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি

গুগল স্কলার ডাটাবেজ অনুযায়ী ‘জার্নাল অফ বিগ ডাটা’ সাময়িকীটি বিগডাটা সংক্রান্ত গবেষণা ক্যাটাগরিতে সমগ্র বিশ্বে প্রথম স্থানে রয়েছে আর এলসিভিয়ার স্কোপাস ডাটাবেস অনুযায়ী জার্নালটি ইনফরমেশন সিস্টেম ব্যাবস্থাপনা ক্যাটাগরিতে বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। এই কিউ-১ জার্নালটির ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর ১২.৪। এছাড়াও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন কনফারেন্স ও পিয়ার রিভিউড জার্নালে ডঃ খানের অর্ধশতাধিক প্রকাশনা রয়েছে।

অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলাম খান নাঈম বর্তমানে ঢাকার প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির অত্যাধুনিক ইনভেশন ল্যাবে ডাটা সায়েন্স, ইনফরমেশন প্রাইভেসি, হেলথ ইনফরমেটিক্স এবং মেশিন লার্নিং নিয়ে গবেষণার নেতৃত্ব প্রদান করছেন। তার প্রতিষ্ঠিত ডাটা সায়েন্স রিসার্চ গ্রুপ বাংলাদেশে ডাটা অ্যানালেটিক্স ও স্বাস্থ্যতথ্য সংক্রান্ত গবেষণায় অগ্রনী ভূমিকা রেখেছে।  

ড. খান তার গবেষণার জন্য দেশ-বিদেশের বিভিন্ন রিসার্চ ফান্ড ও পুরষ্কার পেয়েছেন যার মধ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি ডিভিশন কর্তৃক প্রদত্ত মর্যাদাপূর্ণ ডক্টরাল ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড, বিশ্বখ্যাত গবেষণা প্রকাশনা সংস্থা এলসিভিয়ার কর্তৃক স্মার্ট-হেলথ সংক্রান্ত গবেষণা সাময়িকীর ‘বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড’, আইইইই ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে ‘বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড’, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম কর্তৃক প্রদত্ত ‘আউটস্ট্যান্ডিং রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলাম খান নাঈম সিরাজগঞ্জের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেছেন। মরহুম আলী আশরাফ খান ও মিসেস সুরাইয়া আশরাফ খানের একমাত্র সন্তান অধ্যাপক ড. নাঈম ইম্প্যাক্টফুল গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের সামাজিক কল্যাণে অবদান রাখতে চান। তিনি অত্যাধুনিক গবেষণার জন্য উন্নত ল্যাব করে দেয়ায় প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
 
উল্লেখ্য যে, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ বর্তমানে শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধি এবং অত্যাধুনিক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনায় অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন। এই লক্ষ্যে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের সেরা শিক্ষকদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনায় নিযুক্ত করেছেন। এছাড়াও অত্যাধুনিক ইনোভেশন ল্যাবের মাধ্যমে সকল শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নত গবেষণার পরিবেশ তৈরি করেছেন। ফলে শিক্ষার্থীরা অভিজ্ঞ শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে নিত্যনতুন গবেষণাকার্য পরিচালনার সুযোগ পাচ্ছেন।


সর্বশেষ সংবাদ