বিইউবিটিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ-আহতদের স্মরণে স্মরণসভা
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজিতে (বিইউবিটি) বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ এবং আহতদের স্মরণে স্মরণসভা এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে বিপ্লবী পরিবেশনার আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিইউবিটির আন্তর্জাতিক সম্মেলন হলে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত সাংবাদিক মাসুদ কামাল। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের সফলতা ধরে রাখার জন্য তরুণ প্রজন্মকে সচেতন হতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমাজে ন্যায্যতার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। শহিদদের আত্মত্যাগ আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা।’
জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হওয়া এই স্মরণসভায় প্রথমেই শহিদদের সম্মানে এক মিনিট নীরব প্রার্থনা করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. শামসুল হুদা এফসিএ।
অনুষ্ঠানে িঅতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য প্রদান করেন বিইউবিটি ট্রাস্টের সদস্য ও উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. আবু সালেহ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য প্রদান করেন বিইউবিটি ট্রাস্টের সদস্য এ এফ এম সরওয়ার কামাল।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ শওকত আলী, সহযোগী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ ও আহ্বায়ক, স্মরণসভা আয়োজন কমিটি।
স্মরণসভায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ এবং আহত শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য প্রদান করেন। তাদের বক্তব্যে এই আন্দোলনের প্রাসঙ্গিকতা এবং শহিদদের আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিইউবিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম শওকত আলী। তিনি বলেন, এই আন্দোলন আমাদের জাতির গণতান্ত্রিক সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। শিক্ষার্থীদের এই আত্মত্যাগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা।
স্মরণসভা শেষে বিইউবিটির শিক্ষার্থীরা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে বিপ্লবী পরিবেশনার আয়োজন করে। এ পর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্য সংসদও একটি নাটিকা পরিবেশন করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যবৃন্দ, ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলী আহমেদ, রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, সকল অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে এক স্মৃতিকাতর আবহে সম্পন্ন হয় এ স্মরণ অনুষ্ঠান।