‘আহতদের টিউশন ফি মওকুফ করছে না নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়’ সংবাদের প্রতিবাদ
গত ১৭ নভেম্বর ‘গণঅভ্যুত্থানে আহতদের টিউশন ফি মওকুফ করছে না নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস। সংবাদে বলা হয় ২৯ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আহত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বেতন/টিউশন ফি মওকুফের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আহত শিক্ষার্থীরা নিজ শিক্ষালয় প্রধানের নিকট চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্রসহ এ বিষয়ে আবেদন করলে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে আবেদনসমূহ যাচাইপূর্বক শিক্ষার্থীদের বেতন/টিউশন ফি মওকুফের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সংবাদে আরও বলা হয়, বেসরকারি নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি এই নির্দেশনাটি না মানায় ভোগান্তিতে পড়েছেন আন্দোলনে আহত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। মো. মঈন উদ্দিন নামে নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বক্তব্য তুলে ধরা হয় প্রকাশিত সংবাদে।
সংবাদে আরও উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়টির কাছে টিউশন ফি মওকুফের সমাধান না পেয়ে শিক্ষার্থীরা ছুটে আসেন ইউজিসির কাছে। কিন্তু সেখানেও আহত শিক্ষার্থীদের এক দফতর থেকে আরকে দফতরে প্রেরণ করেন ইউজিসি সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি খোদ উচ্চশিক্ষার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
সম্প্রতি প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল (২৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ডেপুটি রেজিস্ট্রার ফাদার অসীম থিওটোনিয়াস গনসাল্ভেস স্বাক্ষরিত প্রতিবাদ লিপিতে দাবি করা হয়, ‘সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার আগে নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ এ সংক্রান্ত কোনো নোটিশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা ইউজিসি থেকে পায়নি। কাজেই এখানে নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশকে দায়ী করার যৌক্তিকতা নেই। ফলে আগেই সংবাদ প্রকাশের বিষয়টি এনডিইউবি’র কাছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানে আহতদের টিউশন ফি মওকুফ করছে না নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়
কর্তৃপক্ষ আরও দাবি করে, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষার্থীদের আবেদন যাচাইপূর্বক টিউশন ফি মওকুফের ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে। নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ পূর্বে খোঁজ-খবর নিয়েও কোনো আহত শিক্ষার্থীর সন্ধান পায়নি। নতুন করে কোনো শিক্ষার্থী আন্দোলনে নিজের আহত হওয়ার দাবি তুললে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ।’
প্রতিবেদকের বক্তব্য: সংবাদে ভুক্তভোগী একজন শিক্ষার্থীর মন্তব্য যুক্ত করা হয়েছে। দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়টির ইংরেজি বিভাগ, সিএসই বিভাগসহ বেশ কয়েকটি বিভাগে আহত শিক্ষার্থী রয়েছেন, যারা টিউশন ফি মওকুফের জন্য চেষ্টা করেও কোনো ফল পায়নি। এছাড়াও ডেইলি ক্যাম্পাসের হাতে সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে, শিক্ষার্থীরা আহত হয়ে হাসপাতালে সকল কাগজপত্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিলেও কর্তৃপক্ষ ফি মওকুফ করতে অযাচিত সময়ক্ষেপণ করছে। ফলে প্রতিবেদনটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ছোট করার জন্য কিংবা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে করা হয়নি।