২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:৪৪

‘অধ্যাপকের ভুয়া পিএইচডি’র প্রতিবাদ জানাল নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়

নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের লগো এবং অধ্যাপক পরিমল চন্দ্র দত্ত  © টিডিসি সম্পাদিত

গত ২০ নভেম্বর ‘ভুয়া পিএইচডি: দেড় লাখ টাকায় নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি অধ্যাপকের’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস। এতে বলা হয় অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি নিতে ২০০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রেস্টন ইউনিভার্সিটি’ থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের তথ্য উল্লেখ আছে নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের অধ্যাপক ড. পরিমল চন্দ্র দত্তের জীবনবৃত্তান্তে।

নিউজে আরও বলা হয়, এমন কোনো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব নেই যুক্তরাষ্ট্রে। মার্কিন মুলুকে অবস্থানরত কয়েকজন বাংলাদেশি শিক্ষক ও শিক্ষার্থী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। যদিও পিএইচডি ডিগ্রিধারী অধ্যাপক হিসেবে বর্তমানে তিনি নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিমাসে প্রায় দেড় লক্ষাধিকেরও বেশি টাকা বেতন গ্রহণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল (২৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়টির ডেপুটি রেজিস্ট্রার ফাদার অসীম থিওটোনিয়াস গনসাল্ভেস স্বাক্ষরিত প্রতিবাদ লিপিতে দাবি করা হয়, ‘এনডিইউবি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত সকল নিয়োগই বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০এর নির্দেশনাসহ যথাযথ সকল প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সম্পন্ন করেছে। অনুরূপভাবে অধ্যাপক ড. পরিমল চন্দ্র দত্ত-এর পিএইডি ডিগ্রির বৈধতাও যাচাই-বাছাই করেই বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’

কতৃপক্ষ আরও দাবি করে, ‘কেবল কতিপয় বেনামী ব্যক্তির মৌখিক বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে, নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান এবং এর একজন অভিজ্ঞ অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিজ্ঞ শিক্ষকের ব্যাপক সুনামহানি হয়েছে। একইসাথে এটি নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র বলে মনে করছে এনডিইউবি কর্তৃপক্ষ।’

প্রতিবেদকের বক্তব্য: মার্কিন মুলুকে অবস্থানরত কয়েকজন বাংলাদেশি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ‘প্রেস্টন ইউনিভার্সিটি’ নামে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানকারি কোন প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব নেই। অভিযুক্ত অধ্যাপক ড. পরিমল চন্দ্র দত্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও প্রেস্টন ইউনিভার্সিটি সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে পারেনি। ফলে প্রতিবেদনটি কাউকে ছোট করার জন্য কিংবা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে করা হয়নি।