ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে পঞ্চম জেসাপ ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে দুদিনব্যাপী পঞ্চম জেসাপ ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের ওয়ার্কশপের প্রতিপাদ্য ছিল ‘মে ইট প্লিজ দ্য কোর্ট-আনলকিং দ্য এসেনশিয়ালস অফ মুটিং অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি।’
শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরুল বাড্ডা ক্যাম্পাসে এই কর্মশালার আয়োজন করে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ ল’,জেসাপ বাংলাদেশ, হার্থ বাংলাদেশ, দ্য ইন্টারন্যাশনাল ল’ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (আইএলএসএ) এবং দ্য ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস’স অফিস অফ ওভারসিজ পসিকিউটোরিয়াল ডেভেলপমেন্ট, অ্যাসিসটেন্স অ্যান্ড ট্রেনিং।
এই কর্মশালায় দেশের ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মানের মুটিং ও অ্যাডভোকেসির দক্ষতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ লাভ করেছেন। এই ওয়ার্কশপটি ফিলিপ সি. জেসাপ আন্তর্জাতিক মুট কোর্ট প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আগ্রহী আইন শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করা হয়েছে।
দুদিনব্যাপী এই কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ, ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের রেসিডেন্ট লিগ্যাল অ্যাডভাইজার রাহুল কালে এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ ল’ এর ডিন প্রফেসর কে. শামসুদ্দিন মাহমুদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন হার্থ বাংলাদেশের ডিরেক্টর পরব নাসের সিদ্দিকী, জেসাপ বাংলাদেশ কোয়ালিফাইং রাউন্ডস ২০২৫-এর ন্যাশনাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটর আরিফা চৌধুরী এবং আইএলএসএ চ্যাপ্টারের ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর নুরান চৌধুরী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সততা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে আইনি পেশায় এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব হিসেবে আপনাদের অবশ্যই নীতির প্রতি অবিচল থাকতে হবে। আপনাদের কাজের প্রকৃত প্রভাব সততা ও ন্যায়বিচারের প্রতি আপনাদের নিষ্ঠার ওপর নির্ভরশীল।’ শিক্ষার্থীরা যেন সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে পারে সেই বিষয়ে তাদের অনুপ্রাণিত করেন প্রফেসর মাহফুজুল আজিজ।
প্রধান অতিথি আদিলুর রহমান খান শিক্ষার্থীদের দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটা ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে তরুণদেরই নেতৃত্ব দিতে হবে। আমাদের তরুণরা একটি নতুন বাংলাদেশের, অপ্রতিরোধ এক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে। মুটিং ও অ্যাডভোকেসি দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার এক গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার যা স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।’
এই কর্মশালা শিক্ষার্থীদেরকে অভিজ্ঞ আইনজীবীদের কাছ থেকে মুটিং ও অ্যাডভোকেসির কৌশল শেখার এবং আইনি বিশ্লেষণ বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের অনন্য সুযোগ করে দিয়েছে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশে আইনি শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেই সাথে এই বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যৎ আইনজীবীদের বৈশ্বিকভাবে সফল হওয়ার জন্য প্রস্তুত করে চলেছে।
শনিবার (২ নভেম্বর) দুদিনব্যাপী এই কর্মশালা শেষ হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক অ্যাডভাইজার এরিক গিলান, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড, প্রক্টর ড. রুবানা আহমেদ এবং স্কুল অফ ল’ এর অ্যাসিসটেন্ট প্রফেসর মোস্তফা হোসেন। এছাড়াও আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিবৃন্দও এই সময় উপস্থিত ছিলেন।