টেকসই উন্নয়নে নেতৃত্ব দিতে তৈরি হচ্ছে ইউআইইউ’র এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ
টেকসই উন্নয়ন এখন শুধু বৈশ্বিক আলোচনার বিষয় নয়—এটি আমাদের ভবিষ্যৎ গড়ার প্রধান চাবিকাঠি। উন্নয়ন পরিকল্পনা এমন হতে হবে যা পরিবেশকে সুরক্ষা দেবে, প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করবে, ন্যায় ও ন্যায্যতা ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করবে। এই লক্ষ্য বিবেচনায় নিয়ে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) তার এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের মাধ্যমে দক্ষ, পরিবেশ-সচেতন মানবসম্পদ তৈরি করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
বিভাগটির শিক্ষাক্রম যুগোপযোগী ও গবেষণাধর্মী, যা ছাত্র- ছাত্রীদের মেধার বিকাশ ও নেতৃত্ব তৈরিতে সহায়তা করছে। বর্তমানে দেশে-বিদেশের সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, এনজিও, আইএনজিও, শিল্প, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া, পাওয়ার সেক্টর সংস্থায় চাকরির সুযোগের পাশাপাশি স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সব খাতেই কাজের সুযোগ রয়েছে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে স্নাতকদের।
আমাদের এখানে শিক্ষার্থীদের শেখার জন্য আন্তর্জাতিক মানের পরিবেশ রয়েছে। এছাড়াও, দক্ষ ও নিবেদিত শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি শিখছে এবং ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছে—ড. শান্তনু কুমার সাহা, বিভাগীয় প্রধান, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, ইউআইইউ।
ইউআইইউ কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা শুধু সময়োপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত নয়, বরং তারা আগামী দিনের পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ ও টেকসই উন্নয়নে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে। এইজন্য আমাদের রয়েছে একদল সুদক্ষ শিক্ষক মণ্ডলী।’
এই বিভাগটি সময়োপযোগী সিলেবাস ও দক্ষ শিক্ষকদের সমন্বয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য এমন এক শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করেছে, যা অন্যান্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় এগিয়ে। গবেষণার সুযোগ ও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের শুধু তাত্ত্বিক জ্ঞান নয়, বরং হাতে-কলমে শেখার সুযোগও প্রদান করছে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনকে বর্তমান বিশ্বের প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে ইউআইইউ’র এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. শান্তনু কুমার সাহা বলেন, ‘আমরা এমন একটি সিলেবাস তৈরি করেছি, যা পরিবেশ, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাস্তব অভিজ্ঞতানির্ভর জ্ঞান প্রদান করে। টেকসই উন্নয়নে নেতৃত্ব দিতে হলে আন্ত:বিষয়ক জ্ঞান ও দক্ষতা অপরিহার্য।’
তিনি বলেন, বর্তমানে বিভাগটির অধীনে পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য রক্ষা, অর্থনীতি, রাজনীতি, মানব উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা, পাবলিক পলিসি, জেন্ডার, প্রজেক্ট ব্যবস্থাপনা এবং দারিদ্র্য ও টেকসই উন্নয়ন—এই সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পড়ানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা স্থানীয় ও বৈশ্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের সবসময়ই এগিয়ে রাখবে ইউআইইউ’র ‘বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ’
ড. শান্তনু কুমার সাহা বলেন, ‘আমাদের এখানে শিক্ষার্থীদের শেখার জন্য আন্তর্জাতিক মানের পরিবেশ রয়েছে। এছাড়াও, দক্ষ ও নিবেদিত শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি শিখছে এবং ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছে।’
উন্নয়নের বহুমাত্রিক ধারার সাথে পরিবেশকে একত্রিত করে, ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব বিকাশ ও জ্ঞান-ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে ইউ আই ইউ'র এনভাইরনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ।