বন্যার সময় জরুরি ত্রাণ পৌঁছানো যাবে সিইউবি শিক্ষার্থীদের তৈরি ওয়াটার ড্রোন
সাম্প্রতিক সময়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী দেখা দিয়েছে নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এরই ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেখা যাচ্ছে বন্যা। এ বছর আগস্ট মাসে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় ফেনী, কুমিল্লাসহ দেশের আটটি জেলায় ৪ লাখ ৪০ হাজার ৮৪০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছিল। এরপর চলতি সেপ্টেম্বর মাসের শেষে উত্তরাঞ্চলে নতুন করে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে।
এমন বিপর্যয় ও দুর্যোগের সময় যখন সড়কপথ বন্ধ হয়ে যায় এবং মানুষের কাছে জরুরি ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ে, তখন তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা এক ধরনের আশীর্বাদ হয়ে উঠছে।
তেমন একটি উদ্যোগ কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (সিইউবি) সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একদল মেধাবী ছাত্রদের তৈরি একটি অনন্য প্রযুক্তি—ওয়াটার ড্রোন।
বিপর্যয় ও দুর্যোগের সময় এই ড্রোনটি হয়ে ওঠবে এক আশীর্বাদ। রিলিফ অ্যাসিস্ট্যান্স ফ্লোটিং ট্রান্সপোর্ট (আরএএফটি) নামের এই ড্রোনটি জরুরি ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করতে সক্ষম, বিশেষ করে তাদের জন্য যাদের কাছে পৌঁছানো সবচেয়ে কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
ড্রোনটির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ৭ কেজি পর্যন্ত পে-লোড বহন করার ক্ষমতা এবং ২ কিলোমিটার পরিসীমা পর্যন্ত কার্যকর কার্যক্ষমতা। এই উদ্ভাবনটি নিশ্চিত করবে, বিপর্যয়ের সময়ে সহায়তা দ্রুত এবং সঠিক জায়গায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।