মানারাত ইউনিভার্সিটিতে সীরাতুন্নবী (সা.) উদ্যাপন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৬ AM , আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৬ AM
মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সীরাতুন্নবী (সা.) ২০২৪ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও কাওয়ালি জলসা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুলিয়া ক্যাম্পাসে এমআইইউ মোরালিটি অ্যান্ড এথিক্স ক্লাব ও এমআইইউ কালচারাল ক্লাবের উদ্যোগে এবং ছাত্র বিষয়ক বিভাগের সহযোগিতায় এসব অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার মূল আকর্ষণ ছিল সাইমুম শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পীদের কাওয়ালিসহ মন মাতানো সব উপস্থাপনা।
আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের অন্যতম সদস্য ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের সাবেক চেয়ারম্যান পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম। প্রধান আলোচক ছিলেন তারবিয়্যা এডুকেশন নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর মোখতার আহমেদ।
আরও পড়ুনঃ মানারাত ইউনিভার্সিটিতে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ রাসুল (সা.)-এর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাসুল (সা.)-এর আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্যে মানবতার মুক্তি নিহিত রয়েছে। তাই তিনি যা আদেশ ও নিষেধ করেছেন তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা আমাদের দায়িত্ব। এতেই মানব জাতির কল্যাণ রয়েছে।
দুনিয়াতে সকল নবী ও রাসূল পাঠানোর উদ্দেশ্যই ছিল সমস্ত মতবাদ ও আদর্শের বিপরীতে ইসলামকে একটি অনুকরণীয় আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে আমেরিকা বিশ্বের বুকে উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট, মাল্টিন্যাশনাল ডেমেক্রেসিসহ অনেক বিখ্যাত বিখ্যাত স্লোগান দিয়ে লিবারেল ডেমোক্রেসির নামে নয়া বিশ্বব্যবস্থার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু ১৯৯০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পৃথিবীর ইতিহাস হচ্ছে বিভিন্ন যুদ্ধের, নারকীয় হত্যাকাণ্ড এবং রক্তবন্যা বইয়ে দেয়ার ইতিহাস। কিন্তু আজকে দুনিয়ার মানুষ বুঝতে পেরেছে মানবতার মুক্তির জন্য একটিই আদর্শ রয়েছে তা হলো ইসলাম।
সভাপতির বক্তৃতায় অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রব শিক্ষার্থীদের বেশি বেশি রাসুলের (সা.) জীবনী পড়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আজকে নির্বুদ্ধিতা ও পশ্চাৎ পদতার খেসারত দিচ্ছে পাশ্চাত্যের সমাজ ব্যবস্থা। বিভ্রান্তি, হতাশার কারণে মানুষকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হচ্ছে সেখানে। পাপাচার, যৌন হয়রানি, হানাহানি মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। অথচ এ অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারে কেবল ইসলাম তথা রাসুল (সা.)-এর আদর্শ।
আলোচনাসভা শেষে সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদ বিতরণ করা হয়। পরে বিকাল থেকে রাত অবধি চলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও কাওয়ালী জলসা।
এতে সাইমুম শিল্পী গোষ্ঠী ছাড়াও সারগাম সাংস্কৃতিক সংসদের শিল্পীরা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা জনপ্রিয় সব ইসলামি সঙ্গীত, কাওয়ালি ও দেশাত্মবোধক গান, কৌতুক, নাটক ও নাটিকা উপস্থাপনা করে দর্শক মাতান।