১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৫

ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে দোয়া মাহফিল

ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে দোয়া মাহফিল  © সৌজন্যে প্রাপ্ত

বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও মৃত্যুদিবস তথা পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উদযাপন উপলক্ষে ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (এফআইইউ) আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে ফ্লোরে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এর মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন  ড. মো. মুঞ্জুর ই খোদা তরফদার, ট্রেজারার, প্রফেসর মো. আবুল কাশেম, ডিন, ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং, মো. মশিউর রহমান, রেজিস্ট্রার প্রফেসার আলাউদ্দিন মিয়া, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, ড. শাহজাহান কবীর, সহকারি অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, সাইদ রিজভী, শিক্ষার্থী, ইংরেজী বিভাগ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আল্লাহ সুবহানাহু অয়া তাআলার শানে হামদ ও রাসুলুল্লাহ (সা.) এর শানে নাত-এ-রাসুল পরিবেশন করেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রোমান আকন্দ। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন ফ্যাকাল্টি অব লিবারেল আর্টস এর ডিন প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাছান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মশিউর রহমান বিশ্বনবীর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে অর্থবহ আলোচনা করেন এবং বিশ্বনবীর আদর্শ আমাদের বাস্তব জীবনে লালন ও ধারনের মাধ্যমে জীবন যাপনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. শাহজাহান কবীর, বলেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সমাজের ধনী-দরিদ্র, সাদা-কালো, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট ছিলেন। মানব চরিত্রের পূর্ণতা দানের জন্যই তার আগমন হয়েছিল। পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে, ইন্নাকা লা আলা খুলুকিন আজি-ম। নিশ্চয়ই আপনি সুমহান চরিত্রের উপর অধিষ্ঠিত। রাসূলে পাক (সা) রেখে যাওয়া আদর্শ জীবনের সর্বক্ষেত্রে অনুসরণ ও অনুকরণের মাধ্যমে পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পযায়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।

এফআইইউ এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. রকীব আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য জনাব মতিউর রহমান ও জনাব মোঃ আব্দুল্লাহ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ । আলোচনা শেষে বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য শান্তি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।