যখন নিপীড়ন হয় তখনই প্রতিবাদ করা উচিত: এনএসইউতে আলোকচিত্রী শহীদুল আলম
প্রখ্যাত আলোকচিত্রশিল্পী, সাংবাদিক ও সমাজকর্মী শহীদুল আলম বলেছেন, ‘এসব আলোকচিত্র চলমান ইতিহাসের অংশ। এ ইতিহাসে ছাত্রসমাজের ভূমিকা রয়েছে। তাদের মধ্যে ন্যায়-অন্যায়ের বোধ জেগে ওঠায় প্রতিবাদী চেতনা বিকশিত হয়েছে। এসব প্রতিবাদ সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক তখনই, যখন তা প্রয়োজন হয়। এজন্য নিপীড়ন যখন হয়, তখনই প্রতিবাদ করা উচিত। স্বৈরাচারী হয়ে উঠার অন্যতম কারণ প্রতিবাদ না হওয়া। অনেকের নীরবতার কারণেই তারা স্বৈরাচারী হয়ে উঠেছিলো।’
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) মিডিয়া, কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম (এমসিজে) প্রোগ্রাম এবং এনএসইউ টিভি, রেডিও ও ডিজিটাল ল্যাব ‘আলোকচিত্রে ছাত্রজনতার বিপ্লব’ শীর্ষক একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে এসব কথা বলেন। এনএসইউ প্লাজা এরিয়ায় বুধবার (২১ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে প্রদর্শনী শুরু হয়।
আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে আরো উপস্থিত ছিলেন লেখক ও নৃবিজ্ঞানী রেহনুমা আহমেদ, এনএসইউর উপ-উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুর রব খান, সহকারী অধ্যাপক ড. শরীফুল ইসলাম ইমশিয়াত, এনএসইউর সহকারী অধ্যাপক ড. মো. তৌফিক ই এলাহীসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ বলেন, ‘সব বৈষম্যের অবসানে আমরা যদি একসঙ্গে আওয়াজ না তুলি, তাহলে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক তাহমিদ আল মুদাচ্ছির বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে নারীদের অবদান অসামান্য। কারফিউ ভেঙে রাজপথে নামার ক্ষেত্রে তাদের অবদানই সবচেয়ে বেশি ছিল।’
আরো পড়ুন: ভারতে বাঁধ খুলে দেওয়ার প্রতিবাদ ঢাবিতে, পানির নায্য হিস্যা দাবি
অধ্যাপক আবদুর রব খান বলেন, ‘এই আন্দোলনের স্মৃতি আমাদের সবসময় মনে গেঁথে রাখতে হবে। সমাজের সকল স্তর থেকে বৈষম্য দূর করতে সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বৈষম্য কমিয়ে ফেলতে হবে।’
ছাত্র-গণবিপ্লবের ধারণকৃত শক্তিশালী মুহূর্তগুলো প্রতিফলিত করার উদ্দেশ্যে এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ২৭ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এনএসইউ প্লাজা এরিয়াতে প্রদর্শনীটি চলবে।