২৯ জুলাই ২০২৪, ১২:২৩

ক্যাম্পাস বন্ধ রাখতে হয়—এমন কার্যক্রম থেকে শিক্ষার্থীদের বিরত থাকার আহবান

কোটা আন্দোলনে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে  © ফাইল ছবি

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি। শনিবার (২৭ জুলাই) সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় এই শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়। সভায় সমিতির পক্ষ থেকে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির এক বিবৃতিতে কোটা আন্দোলনে স্বার্থান্বেষী মহলের নাশকতা, দেশের সম্পদ বিনষ্ট ও সহিংস ঘটনায় সমিতির আয়োজিত ওই সভায় তীব্র নিন্দা এবং শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিধানে নাশকতাকারীদের আইনের আওতায় আনার পদক্ষেপ সমূহকে স্বাগত জানানো হয়।

বিবৃতিতে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী সরকারের প্রজ্ঞাপন জারি, প্রাণহানির ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন এবং সহিংসতায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সহায়তা ও সম্ভাব্য ক্ষতিপূরণ বিষয়ে সরকারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানানো হয়। এমতাবস্থায় গুজবে কান না দিয়ে ক্যাম্পাস বন্ধকালীন সময় নিজ নিরাপত্তার স্বার্থে শিক্ষার্থীদের মেস/হোস্টেল ছেড়ে পারিবারিক আবাসস্থলে অবস্থান করার আহবান জানায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি।

এতে আরও বলা হয়, দেশের ভবিষ্যত বিবেচনার সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধ ও স্নেহশীলতার কোনো ঘাটতি নেই। তাদের যৌক্তিক চাওয়া কিংবা সমস্যা সমাধানে অভিভাবক শ্রেণি, শিক্ষক ও শিক্ষানুরাগী সমাজ সবসময় তাদের পাশে থাকবে। আজকের শিক্ষার্থীরা আগামী দিনে রাষ্ট্র ও প্রশাসন পরিচালনা করবে বিধায় সহিংসতার বিরুদ্ধে যথাযথ শিক্ষায় তাদের পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠা জরুরি। এক্ষেত্রে ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে অর্জিত স্বাধীনতার চেতনা ও মূল্যবোধ তাদেরকেই সমুন্নত রাখতে হবে।

‘‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন সুনাম তথা সংঘাত-সহিংসতামুক্ত ক্যাম্পাসের ভাবমূর্তি এবং অভিভাবকদের আস্থা সংরক্ষণে আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে। সহিংস ঘটনার পূনরাবৃত্তি রোধে শিক্ষার্থীদের ‘ক্যাম্পাস কাউন্সেলিং’ জোরদার ও অভিভাবকদের সচেতনতা একান্ত জরুরি।’’ এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সর্বস্তরের শিক্ষকদের যথাযথ ভূমিকা পালনের জন্য সমিতির পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়।

ক্যাম্পাস বন্ধ রাখতে হয়—এমন কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের না জড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বিবৃততে আরও বলা হয়, সংঘাত-সহিংসতামুক্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম রক্ষার্থে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হয় কিংবা ক্যাম্পাস বন্ধ রাখতে হয়—এমন সকল কার্যক্রম থেকে নিজেদের বিরত রাখবে এবং প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করবে।