বৈদেশিক নীতি প্রণয়নে বাংলাদেশের আরও বেশি দক্ষ হওয়া উচিত: ইউআইইউতে সাবেক সেনাপ্রধান
বৈশ্বিক প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অবস্থান আরও জোরালো করতে নিজেদের বৈদেশিক নীতিমালা প্রনয়ণে আরও বেশি দক্ষ এবং কৌশলী হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আব্দুল মুবিন, এসবিপি, এনডিসি, পিএসসি। এটি করা গেলে বাংলাদেশ তার প্রতিবেশী দেশগুলোর থেকে আরও বেশি সুবিধা-অধিকার আদায় করতে পারবে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) কর্তৃক আয়োজিত 'বৈশ্বিক প্রেক্ষিতে দক্ষিণ এশিয়ার উত্থান: বাংলাদেশে এর প্রভাব'—শীর্ষক আলোচনায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন। ইউআইইউ'র স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের উদ্যাোগে উচ্চশিক্ষালয়টির ক্যাম্পাসে 'বাংলাদেশ কর্পাস: পাবলিক লেকচার সিরিজ-২০২৪ এর অংশ হিসেবে অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়েছে।
বিগত ৫০ বছরেও বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক আদর্শ প্রতিষ্ঠিত হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সার্বভৌমত্ব এবং অধিকারের প্রশ্নে আরও বেশি সাহসী হওয়া উচিত। আমাদের নিজেদের ভূমি এবং সমুদ্র ব্যবহারে আরও বেশি কৌশলী হওয়া দরকার।
আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশ কর্পাস’ অর্থনীতি-রাজনীতি, উন্নয়নসহ নানা বিষয়ে মত দেবেন বিশেষজ্ঞরা
মোহাম্মদ আব্দুল মুবিন বলেন, এশিয়ায় চীন এবং ভারতের বড় উত্থান হচ্ছে এবং তারা এখানকার মুখপাত্র হয়ে উঠছে। বাংলাদেশ তাদের সাথে ভূ-রাজনৈতিক আলোচনায় কৌশলগত অংশীদারত্ব বাড়াতে পারে।
আধিপত্যবাদী শক্তির বিরোধী? আমরা কীভাবে একটি বহুস্তরযুক্ত বহুপাক্ষিকতা প্রতিষ্ঠার কাজ করতে পারি, পদ্ধতিগত চাপকে ঠেকাতে পার্শ্বিক হতে পারি? আমাদের কি দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা কাঠামো দরকার—এমন প্রশ্নগুলোরও সমাধান হওয়া দরকার বলেও জানান তিনি।
এছাড়াও আলোচনায় বৈশ্বিক নানা প্রেক্ষিত এবং করণীয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোকপাত করা হয়। পাশাপাশি এসব প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের করণীয় বিষয়গুলোও তুলে ধরা হয়েছে সবার সামনে।
আরও পড়ুন: ‘প্রাতিষ্ঠানিক ও নীতিগত দুর্বলতা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সংকটে ফেলছে’
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বেসরকারি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি) রেজিস্ট্রার গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) ড. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম খান। তিনি এশিয়ার বিভিন্ন দেশের উত্থান এবং তার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেন।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম মিয়া এবং স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের (এসওবিই) ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুসা এবং এসওবিই'র অধ্যাপক ফায়জুল হক খান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থী এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।