কোটা সংস্কারের দাবিতে মাঠে বেসরকারি গণ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা
সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটাপদ্ধতি সংস্কার, ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন।
সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সি-ব্লক থেকে একত্রিত হয়ে মিছিল শুরু করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি একাডেমিক ভবন হয়ে মূল ফটক থেকে বাইশ মাইল পৌঁছায়। প্রায় আধঘন্টা সড়কটি অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা এ সময় কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আমার সোনার বাঙলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ এসব স্লোগান দিতে থাকেন।
আন্দোলনে অংশ নেয়া রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী নাসিম জানান, কোটার যৌক্তিক সংস্কার প্রয়োজন। স্বাধীন রাষ্ট্রে কখনোই সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ৫৬% কোটা থাকা অযৌক্তিক, সাধারনের জন্য অতি উদ্বেগের বিষয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করা, সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার না করা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
তবে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে বলেও জানান শিক্ষার্থীরা। তারা তাদের দাবি না মেনে নেওয়া হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান। পাশাপাশি কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন। এর পাশাপাশি অন্যান্য বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে যোগদানের আহ্বান করেন তারা।