২৯ জুন ২০২৪, ২১:২৯

ইউআইইউতে ‘বাংলাদেশের স্কুল, দক্ষতা এবং শিক্ষার অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক লেকচার

ইউআইইউতে ‘বাংলাদেশের স্কুল, দক্ষতা এবং শিক্ষার অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক লেকচার
অনুষ্ঠানে নজরুল ইসলাম খানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ইউআইইউ এর উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবুল কাশেম মিয়া  © টিডিসি ফটো

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ কর্পাস: পাবলিক লেকচার সিরিজ-২০২৪’ এর অংশ হিসেবে “বাংলাদেশের স্কুল, দক্ষতা এবং শিক্ষার অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৯ জুন) বিকাল ৩টায় ইউআইইউ ক্যাম্পাসে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব রিডিং-এর প্রফেসর নিয়াজ আসাদুল্লাহ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের কিউরেটর এবং বাংলাদেশ সরকারের সাবেক শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউআইইউ’র উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবুল কাশেম মিয়া এবং ইউআইইউ’র স্কুল অফ বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মুসা। 

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক নিয়াজ আসাদুল্লাহ বলেন, গ্রামীণ জনপদের ৬২ শতাংশ শিক্ষার্থীর টিভি দেখার সুযোগ ছিল। আর ৩৮ শতাংশ শিক্ষার্থীর সেই সুযোগ ছিল। যাদের টিভি দেখার সুযোগ ছিল তাদের মধ্যে মাত্র ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী টিভিতে সরকার পরিচালিত ক্লাস করেছে। ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী টিভিতে ক্লাসের বাইরে ছিলেন।

প্রাথমিকের ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ালেখা শেষ করলেও রিডিং পড়তে পারেন না জানিয়ে প্রফেসর নিয়াজ আসাদুল্লাহ বলেন, সপ্তম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থীর শিখন পর্যায় ৭ম  শ্রেণির মানের হলেও অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থীর শিখন পর্যায় পঞ্চম শ্রেণি পর্যায়ের রয়ে গেছে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষক সংকট রয়েছে। এর দুটি কারণ রয়েছে। একটি হলো-স্বল্প বেতন; আরেকটি হলো শিক্ষকদের নিজ বাড়ি থেকে অনেক দূরের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে হয়। আমাদের জিডিপি অনুযায়ী শিক্ষকদের বেতন ঠিক আছে বলে ধরা হয়। তবে বর্তমান বাজার চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষকদের যে বেতন দেওয়া হয়, তা চাহিদার তুলনায় কম। এই অল্প বেতনে শিক্ষকরা নিজ বাড়ি থেকে অনেক দূরের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে আগ্রহ দেখান না। এজন্য শিক্ষক সংকট দূর করা যাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যারা বিসিএস ক্যাডার হচ্ছেন, তাদের ৭০ শতাংশই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তান। চিকিৎসকের সন্তান চিকিৎসক হচ্ছেন। কৃষকের সন্তান খুব কমই বিসিএস ক্যাডার হচ্ছে। যারা যে পেশার সাথে সম্পৃক্ত, তাদের সন্তানেরা সেই পেশাতেই আসছে।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী এবং আমন্ত্রিত অথিতিরা উপস্থিত ছিলেন।