স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত
পরিবেশগত সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা এবং পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এসইউবি) এর পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে গত ৫ জুন থেকে ৭ জুন দুই দিন ব্যাপী পালিত হয় বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৪। বৃক্ষরোপণ, র্যালি ও সেমিনারসহ নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এসইউবি’র স্থায়ী ক্যাম্পাসে দিবসটি পালিত হয়।
‘করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা, অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা’— এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে বুধবার (৫ জুন, ২০২৪) সকাল ১০টায় এসইউবি পরিবেশ ক্লাব ও এসইউবি ফার্মা এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড সোশ্যাল ওয়ার্ক ক্লাব দুইটি পৃথক র্যালি বের করে। র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিজয় টাওয়ার থেকে শুরু হয়ে স্বাধীনতা টাওয়ারে এসে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এতে ভাইস-চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর, রেজিস্ট্রার, উপদেষ্টা, ডিন, বিভাগীয় প্রধান, অনুষদ সদস্য, পরিচালক, আইকিউএসি, সহ বিশ্ববি্দ্যালয়ের সকল কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
৭ জুন ২০২৪ এ আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডেভপ্রো পার্টনারস (গ্লোবাল এনভায়রনমেন্টাল স্ট্র্যাটেজি) এর রিসার্চ ফেলো মুহাম্মদ সেলিম হোসেন এবং পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির। তাদের বক্তব্যে এই বছরের পরিবেশ দিবসের থিমের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ভূমি পুনরুদ্ধার, মরুকরণ এবং খরা প্রতিরোধে অবিলম্বে পদক্ষেপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ উঠে আসে।
বিভাগের প্রধান, অনুষদ সদস্যরা এবং শিক্ষার্থীরা উৎপাদনশীল আলোচনায়, পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ধারণা এবং কৌশল বিনিময় করে। সেমিনার পরিবেশগত টেকসইয়ের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিশ্রুতি এবং একটি সবুজ ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে শিক্ষা ও গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দেয়।
সেমিনারের পরে অংশগ্রহণকারীরা একটি বৃক্ষরোপণ সেশনে অংশ নেয়, যা পরিবেশগত সংরক্ষণ এবং ভূমি পুনরুদ্ধারের প্রতি তাদের উৎসর্গের প্রতীক। ইভেন্টটি পরিবেশগত সমস্যাগুলি মোকাবেলায় সম্মিলিত পদক্ষেপের গুরুত্বকে শক্তিশালী করার একটি ব্যবহারিক প্রদর্শন হিসাবে কাজ করেছিল।
স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এ বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদ্যাপন বিশ্বব্যাপী পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রতিষ্ঠানটির সক্রিয় দৃষ্টিভঙ্গির প্রমাণ। ক্রমাগত ব্যস্ততা এবং উদ্ভাবনী উদ্যোগের মাধ্যমে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য হলো স্থায়িত্বের দিকে বিশ্বব্যাপী আন্দোলনে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখা