কর্পোরেট নেতৃত্বে এগিয়ে যেতে সহায়ক অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস
- খাঁন মুহাম্মদ মামুন
- প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৪, ০৮:২৫ PM , আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫০ PM
এক দশক আগেও দেশের কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ পদে দেখা যেত বিদেশি কোনো ব্যক্তিকে। নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর তখন বরাবরের মতোই অভিযোগ— যোগ্য ব্যক্তি পাচ্ছেন না। ফলে দক্ষ কাউকে নিয়োগে তাদের একমাত্র ভরসা ছিল বিদেশিদের ওপর। তবে ধীরে ধীরে এ চিত্র বদলাচ্ছে। দেশীয় শিক্ষায়তনে চাকরির বাজার উপযোগী মানবসম্পদের যোগানদাতা হিসেবে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শুরু থেকেই বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে। এ যাত্রায় নতুন গতির সঞ্চার হয় দেশে ৯০-এর দশকে বেসরকারি খাতের উদ্যোগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর।
এরপর দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ সরকারি চাকরিতে যাওয়ার প্রবণতা বেসরকারি খাতের চাকরিতে আধিপত্য বাড়ে। ফলে বেসরকারি উচ্চশিক্ষালয়গুলোয় বাড়তে থাকে বাজার চাহিদাভিত্তিক বিষয়গুলো। এর মধ্যে বাণিজ্যের বিষয়গুলো অন্যতম। শুরুতে বিবিএ’র মতো বিষয়গুলোর তুমুল চাহিদা থাকলেও পরবর্তীতে বাড়তে থাকে অন্যান্য বিষয়গুলোর কদর। এর মধ্যে বর্তমানে বাণিজ্যের উচ্চশিক্ষায় প্রাযুক্তিক সমন্বয়ে বাড়ছে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস)-এর কদর।
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের (এসওবিই) পড়ানো হয় বিবিএ ইন একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (বিবিএ ইন এআইএস)। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে উচ্চশিক্ষালয়টিতে রয়েছে শিখন শেখানোর যাবতীয় আয়োজন। হালনাগাদ সিলেবাসে প্রাযুক্তির সব নতুনত্বে হাতে-কলমে বাজার উপযোগী হয়ে গড়ে উঠছে এখানকার বিদ্যার্থীরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রযুক্তির এ যুগে এখন দক্ষ ব্যক্তিদের চাহিদা সবখানেই। সেখানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাউন্টিং পড়ানো হলেও এর সাথে হালনাগাদ প্রযুক্তির সমন্বয় করা হয় অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস)-এর পড়াশোনায়। এআইএসের শিক্ষার্থীদের বর্তমানে শেখানো হয় বাজার চাহিদাভিত্তিক বিভিন্ন কোর্স এবং স্কিলও।
ক্লাসরুমে ইউআইইউ শিক্ষার্থীরা (টিডিসি ফটো)
এর মধ্যে— ক্লাউড অ্যাকাউন্টিং, রেডবুক অ্যাকাউন্টিং, কুইকবুক অ্যাকাউন্টিং, ট্যালি বা সাববেইজড অথবা ইআরপিভিত্তিক অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার, এক্সেলের হালনাগাদ সব ফিচার, পাওয়ার বিআই’য়ের মতো অ্যাপ্লিকেশনগুলো শিক্ষার্থীদের অন্যদের তুলনায় এগিয়ে রাখে বহুগুণে। এছাড়াও হাল প্রযুক্তির নতুন শিখনও বাড়িয়ে দেয় শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস।
অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) একটি সিস্টেম যা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট্যান্ট, ম্যানেজার, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও), ব্যবসা বিশ্লেষক, পরিচালক, নিরীক্ষক, নিয়ন্ত্রক, ট্যাক্স এজেন্সি এবং পরামর্শদাতাদের ব্যবহৃত আর্থিক এবং অ্যাকাউন্টিং ডেটা সংগ্রহ, সঞ্চয়, প্রক্রিয়া এবং রিপোর্ট করতে ব্যবহার করা হয়। এটি আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি সংস্থানগুলোর সাথে সাধারণভাবে গৃহীত অ্যাকাউন্টিং নীতির মতো ঐতিহ্যগত অ্যাকাউন্টিং অনুশীলনগুলোকে একত্রিত করার কাজটি করে থাকে। এছাড়াও বর্তমানে অ্যাকাউন্টিং এবং ব্যবসায়িক কার্যকলাপও পরিচালিত হয়ে থাকে এআইএস’র তত্ত্বাবধানে। আর এসব বিষয়গুলো শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে শেখার সুযোগ পান এআইস নিয়ে পড়াশোনার মাধ্যমে।
ইউআইইউ’র এসওবিই এর ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুসা (টিডিসি ফটো)
বর্তমানে এআইএস প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেন এবং রেকর্ড রাখার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্তরের নির্ভুলতা নিশ্চিত করে। পাশাপাশি এটি প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট কর্মচারীদের কাছে সংবেদনশীল তথ্য সীমাবদ্ধ করে এবং ডেটার সামগ্রিক নিরাপত্তা রক্ষা করার সময় তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য ব্যবহারের অনুমতি দেয়। একইসাথে এটি কাজ করে জালিয়াতি শনাক্ত করার ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রাতিষ্ঠানিক অর্থব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে। একটি ভালো ডিজাইন করা এআইস কোম্পানির সকলকে একই সিস্টেম প্রবেশে এবং একই তথ্য পুনরুদ্ধার সহায়তা করে থাকে।
বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাশাপাশি অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) পড়ানো হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও। ঢাবির ব্যবসায় অনুষদের প্রতিষ্ঠাকালীন বিষয়গুলোর একটি অ্যাকাউন্টিং। বর্তমানে বাজার চাহিদার জোগান নিশ্চিতে অনুষদটিতেও পড়ানো হচ্ছে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস)। এর বাইরে বেসরকারিতে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) দেশের প্রথম বেসরকারি উচ্চশিক্ষালয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ), ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (আইইউবি) এবং ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ইউআইইউ)।
“ইউআইইউ’র স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের (এসওবিই) শিক্ষকদের একটি বড় অংশ পিএইচডি ডিগ্রিধারী। যা অন্যান্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। এখানে ছাত্র শিক্ষক অনুপাত অনেক ভালো। এছাড়াও এখানে আমাদের শিক্ষার্থীদের ভালো শেখার পরিবেশ দেওয়ার চেষ্টা করি এবং তারা আমাদের এই ক্যাম্পাসে এসে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে-অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুসা, ডিন, এসওবিই
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের (এসওবিই) পড়ানো হয় বিবিএ ইন একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (বিবিএ ইন এআইএস)। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে উচ্চশিক্ষালয়টিতে রয়েছে শিখন শেখানোর যাবতীয় আয়োজন। হালনাগাদ সিলেবাসে প্রাযুক্তির সব নতুনত্বে হাতে-কলমে বাজার উপযোগী হয়ে গড়ে উঠছে এখানকার বিদ্যার্থীরা।
রেজোয়ানুল হক রাফি বর্তমানে ইউআইউ’র স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের অধীনে পড়াশোনা করছেন। উচ্চশিক্ষা শেষে তিনি একটি স্টার্ট-আপ দাঁড় করানোর স্বপ্ন দেখেন। তিনি বলেন, এখানকার শিক্ষার পরিবেশ, সুযোগ-সুবিধা, শিক্ষকদের সহযোগিতা, হাতে-কলমে শেখার সুযোগ তাঁকে সমৃদ্ধ করছে এবং স্বপ্ন পূরণের সারথি হচ্ছে। নবীন শিক্ষার্থীদের প্রতি এসওবিই’র এই শিক্ষার্থীর পরামর্শ, যারা স্বপ্ন পূরণের জন্য নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে আগ্রহী তাদের জন্য সেরা শিক্ষালয় হতে পারে ইউআইইউ’র স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনোমিক্স।
ইউআইইউ’র স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্স (টিডিসি ফটো)
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) পড়াশোনার পরিবেশ দেশের অন্যান্য উচ্চশিক্ষালয়গুলোর তুলনায় সবচেয়ে ভালো বলে মনে করেন অনুষদটির স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী শাম্মি আক্তার তিশা। তিনি বলেন, এখানে শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকদের সম্পর্ক তাদের অনেক বেশি শেখার সুযোগ দেয়। শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষারও বিভিন্ন ধরনের সুযোগ রয়েছে। এসব সুযোগ তাদের আগামীর জন্য প্রস্তুত করছে।
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের (এসওবিই) ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুসা বলেন, ইউআইইউ’র স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের শিক্ষকদের একটি বড় অংশ পিএইচডি ডিগ্রিধারী। যা অন্যান্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। এখানে ছাত্র শিক্ষক অনুপাত অনেক ভালো। এছাড়াও এখানে আমাদের শিক্ষার্থীদের ভালো শেখার পরিবেশ দেওয়ার চেষ্টা করি এবং তারা আমাদের এই ক্যাম্পাসে এসে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। আমরা এখন চেষ্টা করছি, শিক্ষার্থীদের সেরা মানের একটি শেখার সুযোগ করে দেওয়া। এটি শুধু বাংলাদেশে নয় দক্ষিণ এশিয়ার সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুসা বলেন, আমরা সবসময়ই আমাদের সিলেবাস হালনাগাদ করে থাকি। এর ফলে আমাদের শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন বিষয়গুলো শেখার সুযোগ পান। শিক্ষার সর্বোচ্চ সুযোগ আমরা শিক্ষার্থীদের দিতে কাজ করছি এবং সেটি সম্ভব হচ্ছে। সেজন্য শিক্ষার্থীরা দেশের অন্যান্য উচ্চশিক্ষালয় বিবেচনায় ইউআইইউ’র এসওইবিইকে তাদের পছন্দের তালিকায় রাখবেন। এখানে যেসব বিষয়ে আমরা পাঠদান করছি, এসব বিষয়ে শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পর সহজেই চাকরিতে নেতৃত্ব দিতে পারবে। এর বাইরে আমাদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে চুক্তি করছি, ফলে উচ্চশিক্ষার পরই শিক্ষার্থীদের সহজেই চাকরির বাজারে প্রবেশের সুযোগ হয়।
এসওবিই’র সহযোগী অধ্যাপক ড. জেমস বকুল সরকার (টিডিসি ফটো)
দেশের সরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাদে তিনটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) নিয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ থাকলেও বৈশ্বিক শর্তমুক্ত অ্যাক্রেডিটেশন রয়েছে একমাত্র ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের (এসওবিই) অধীনে পরিচালিত বিবিএ ইন এআইএস প্রোগ্রামেরই। উচ্চশিক্ষালয়টির এ প্রোগ্রামটি শর্তমুক্ত এ প্রোগ্রাম পরিচালনার সুযোগ পাচ্ছে বিগত ১০ বছর ধরে। ফলে এখানকার শিক্ষার্থীরা চাকরি এবং বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে অন্যান্য উচ্চশিক্ষালয়ের শিক্ষার্থীদের তুলনায়।
ইউআইইউ’র স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের শিক্ষার্থীরা বাজার উপযোগী হয়ে গড়ে উঠতে পারছে বলে মনে করেন স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনোমিক্স (এসওবিই) সহযোগী অধ্যাপক ড. জেমস বকুল সরকার।
অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) একটি সিস্টেম যা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট্যান্ট, ম্যানেজার, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও), ব্যবসা বিশ্লেষক, পরিচালক, নিরীক্ষক, নিয়ন্ত্রক, ট্যাক্স এজেন্সি এবং পরামর্শদাতাদের ব্যবহৃত আর্থিক এবং অ্যাকাউন্টিং ডেটা সংগ্রহ, সঞ্চয়, প্রক্রিয়া এবং রিপোর্ট করতে ব্যবহার করা হয়।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় বেশি কাজ করতে হয়। এখানে চ্যালেঞ্জ আছে; তারপরও আমরা শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ বাজার উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। এখানে সীমাবদ্ধতা শিক্ষার্থীদেরও আছে, আবার বিশ্ববিদ্যালয়েরও আছে। মেধা এবং পরিশ্রমের মানসিকতা নিয়ে আসে তারাই পরবর্তীতে ভালো করে। আপনি দেশের শীর্ষ কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোয় আমাদের শিক্ষার্থীদের পাবেন। প্রাযুক্তিক সময় বিবেচনায় সময়ের সাথে সাথেই সবকিছুর খুব দ্রুত পরিবর্তনকে স্বীকার করতে হবে।
ক্লাসরুমে ইউআইইউ শিক্ষার্থীরা (টিডিসি ফটো)
ড. জেমস বকুল সরকার বলেন, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) শিক্ষার্থীদের যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সামনে এগিয়ে রাখার পক্ষে। সেজন্য আমরা প্রতিনিয়ত তাদের নতুন প্রযুক্তি বা বিষয়গুলোর সাথে পরিচিত করে থাকি, তাদের সিলেবাসে তা অন্তর্ভুক্ত করি। ফলে আমাদের শিক্ষার্থীরা সময়ের সাথে সাথেই এগিয়ে থাকে। তাদের কর্মজগতে গিয়ে খুব বেশি সমস্যায় পড়তে হয় না। এককথায় প্রাযুক্তিক সব পরিবর্তনের সাথেই শিক্ষার্থীদের দক্ষ এবং আগামীর জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত করতে এগিয়ে থাকে এবওবিই। এআইএস নিয়ে পড়তে হলে শিক্ষার্থীদের অ্যাকাউন্টিং সম্পর্কে জ্ঞান (সম্পূর্ণ ধারণা স্পষ্ট থাকতে হবে), আইটি স্কিল (তথ্য আদান-প্রদান, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাস্তবিক প্রয়োগ দক্ষতা), সফট স্কিল (যোগাযোগ দক্ষতা, আবেগ নিয়ন্ত্রণ, ইত্যাদি) থাকতেই হবে।
প্রযুক্তির এ সর্বোচ্চ সময়ে শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়মিত পাঠদানের পাশাপাশি হাতে-কলমে শেখার সুযোগ রাখতে হবে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল আমিন। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের এগিয়ে রাখতে কাজ করছি। বিশ্বমানের সিলেবাসে তাদের পাঠদান করা হচ্ছে। তারা এআইএস নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেই কর্পোরেট জগতে নিজেদের নেতৃত্বের আসনে নিয়ে যেতে পারবে।