১৩ মে ২০২৪, ১৯:২৭

বাজার উপযোগী গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে অনন্য ইউআইইউ’র স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনোমিক্স

বাজার উপযোগী গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে অনন্য ইউআইইউ’র স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনোমিক্স  © সম্পাদিত

বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর উত্থানপর্বে তিন দশকের বেশি সময়ের পথচলার সাফল্য দীর্ঘদিন ধরেই আলো ছড়িয়েছে, ছড়াচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে ছাড়িয়ে গেছে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও। সেরাদের সেরা হওয়ার এ লড়াইয়ে বেসরকারি উচ্চশিক্ষালয়গুলো লড়াইটি করেছে নিজের সাথে, নিজেদের সাথে; অন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী হয়ে। প্রতিযোগিতার যুগ-যুগান্তরে এ লড়াইয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ছিল দেশের সীমানা ছাড়িয়ে যাওয়ার। হয়েছেও তাই।

দেশে উচ্চশিক্ষার পট পরিবর্তনের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাশাপাশি প্রায় সমান সমান অবদান রেখে চলেছে বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও। বর্তমানে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শ্রেষ্ঠত্বের গল্পার্জন একক প্রতিষ্ঠানের কাঠামোকে ছাড়িয়ে সুযোগ করে দিচ্ছে অনুষদ কিংবা স্কুলকে সবার সামনে তুলে ধরার। তেমনি একটি দেশের অন্যতম বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনোমিক্স (এসওবিই)।

আমাদের শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন বিষয়গুলো শেখার সুযোগ পান। এখানে যেসব বিষয়ে আমরা পাঠদান করছি, এসব বিষয়ে শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পর সহজেই চাকরিতে নেতৃত্ব দিতে পারবে। শিক্ষার সর্বোচ্চ সুযোগ আমরা শিক্ষার্থীদের দিতে কাজ করছিঅধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুসা, ডিন, স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনোমিক্স, ইউআইইউ।

ইউআইইউ’র স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনোমিক্স (এসওবিই) বর্তমানে বাংলাদেশের একমাত্র ব্যবসায় শিক্ষা শাখা কেন্দ্র যেটি বিশ্বব্যাপী ব্যবসা ব্যবস্থাপনা এবং ব্যবসায় প্রশাসনের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ ও উন্নয়নে কাজ করা জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম রেটো’র চ্যালেঞ্জে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। একই চ্যালেঞ্জে মার্কেটিং ক্যাটাগরিতে ইউআইইউ’র আরেকটি দল দশম স্থানে রয়েছে। বৈশ্বিক শ্রেষ্ঠত্বের এ লড়াইয়ে রেটো’র চ্যালেঞ্জে ইউআইইউ’র আরেকিট দল ফিন্যান্সে তৃতীয় এবং জেনারেল ম্যানেজমেন্ট বিভাগে তৃতীয় ও দশম স্থানে রয়েছে। এছাড়াও এসওবি‘র রয়েছে একগুচ্ছ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সাফল্য।

দেশের প্রচলিত চাকরির বাজার বিবেচনায় দক্ষ এবং সময়োপযোগী মানবসম্পদ তৈরিতে ইউআইইউ’র স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনোমিক্স শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ, হালনাগাদ সিলেবাস, দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকের পাশাপাশি রয়েছে হাতে-কলমে নানা বিষয় শেখার সুযোগ। এছাড়াও কোনো শর্ত ছাড়াই বৈশ্বিক অ্যাক্রেডিটেশন পেয়েছে অনুষদটি। বিশ্বের ২৩ দেশের উচ্চশিক্ষালয়গুলোর মধ্যে তালিকায় থাকা বাংলাদেশের অন্য দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এই অ্যাক্রেডিটেশন পেয়েছে বেশ কিছু শর্ত সাপেক্ষে। রয়েছে নিয়মিত মেধাবৃত্তি ও আধুনিক ও প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ক্যাম্পাসে পাঠগ্রহণের সুযোগ।

পড়াশোনার ভালো মানের পাশাপাশি ইউআইইউ’র স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের শিক্ষার্থীদের সুযোগ রয়েছে সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজেকে আগামীর জন্য নেতৃত্বগুণসম্পন্ন করে গড়ে তোলার সুযোগও। এজন্য উচ্চশিক্ষালয়টির শিল্পের সাথে শিক্ষার সমন্বয়ের নানা উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করছে সম্ভাবনার নতুন নতুন দ্বার। রয়েছে শতভাগ স্কলারশিপ গ্রহণের সুযোগও।

বর্তমানে ইউআইইউ’র স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের অধীনে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ), বিবিএ ইন একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (বিবিএ ইন এআইএস), মাস্টার্স অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ), এক্সিকিউটিভ মাস্টার্স অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইএমবিএ), ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন ইকোনোমিক্স এবং একই বিষয়ে মাস্টার্সে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য।

ইউআইইউ’র পড়াশোনার পরিবেশ দেশের অন্যান্য উচ্চশিক্ষালয়গুলোর তুলনায় সবচেয়ে ভালো। এখানে শিক্ষার্থীদের অনেক বেশি শেখার সুযোগ রয়েছে। শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষারও বিভিন্ন ধরনের সুযোগ রয়েছে। এসব সুযোগ তাদের আগামীর জন্য প্রস্তুত করছেশাম্মি আক্তার তিশা, শিক্ষার্থী, বিবিএ, ইউআইইউ।

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের বিবিএ প্রোগামের পরিচালক অধ্যাপক ড. সালমা করিম বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছি। তাদেরকে আগামীর জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়নে সবসময়ই কোর্স কারিকুলাম আপডেট করা হয়। এছাড়া প্রাযুক্তিক দক্ষতা এবং নতুন যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তাদের বিভিন্ন নতুন বিষয়ের সাথে পরিচয় এবং হাতে কলমে শেখার সুযোগ প্রদান করা হয়।

এআইএস প্রোগ্রামের সমন্বয়ক ড. জেমস বকুল সরকার জানান, অ্যাকাউন্টিংকে ফোকাস করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত একমাত্র প্রোগ্রাম হলো ইউআইইউ’র অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম; যা ২০১২ সাল থেকে চলে আসছে। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি চালু হওয়া আমাদের ‘সাসটেইনেবল কোর্সটি’ও একক ও ইউনিক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা সবসময় চেষ্টা করেছি বাজার উপযোগী কোর্স চালু করে শিক্ষার্থীদের একধাপ এগিয়ে রাখতে। হচ্ছেও তাই। এমন অন্তত দেড় শতাধিক ইউআইইউ-এর এআইএস গ্র্যাজুয়েট রয়েছেন, যারা সিএ ও এর মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পড়াশোনা সম্পন্ন করেছেন এবং করেছে বলেও জানান জেমস বকুল সরকার।

স্বপ্ন পূরণের সেরা শিক্ষালয় স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনোমিক্স— শিক্ষার্থীবৃন্দ
রেজোয়ানুল হক রাফি বর্তমানে ইউআইউ’র স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের বিবিএ প্রোগামে পড়ছেন। উচ্চশিক্ষা শেষে তিনি একটি স্টার্ট-আপ দাঁড় করানোর স্বপ্ন দেখেন। তিনি বলেন, এখানকার শিক্ষার পরিবেশ, সুযোগ-সুবিধা, শিক্ষকদের সহযোগিতা, হাতে-কলমে শেখার সুযোগ তাঁকে সমৃদ্ধ করছে এবং স্বপ্ন পূরণের সারথি হচ্ছে। নবীন শিক্ষার্থীদের প্রতি এসওবিই’র এই শিক্ষার্থীর পরামর্শ— যারা স্বপ্ন পূরণের জন্য নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে আগ্রহী; তাদের জন্য সেরা শিক্ষালয় হতে পারে ইউআইইউ’র স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনোমিক্স।

আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানি গবেষণার বাতিঘর ইউআইইউ’র সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চ

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) পড়াশোনার পরিবেশ দেশের অন্যান্য উচ্চশিক্ষালয়গুলোর তুলনায় সবচেয়ে ভালো বলে মনে করেন বিবিএ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী শাম্মি আক্তার তিশা। তার বক্তব্য, এখানে শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকদের সম্পর্ক তাদের অনেক বেশি শেখার সুযোগ করে দেয়। শিক্ষার পাশাপাশি সহশিক্ষারও বিভিন্ন ধরনের সুযোগ রয়েছে। এসব সুযোগ তাদের আগামীর জন্য প্রস্তুত করছে।

উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পরপরই চাকরি পাচ্ছেন স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের গ্র্যাজুয়েটরা: ডিন
ইউআইইউ’র স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্সের পথচলার পেছনের গল্প জানতে চাওয়া হয় অনুষদটির ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুসার কাছে। গুণী এই অধ্যাপক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল আকর্ষণ হলো সেখানকার শিক্ষকমণ্ডলী। শিক্ষকদের গুণগত মান থাকলে সেখানকার শিক্ষার্থীরাও অনেক ভালো করবে।

আপনি বিশ্বখ্যাত এমআইটি, হার্ভার্ডের দিকে খেয়াল করলে দেখবেন সেখানে বিশ্বখ্যাত শিক্ষকরা রয়েছে। ইউআইইউ এটি খুব যত্নের সাথে দেখছে এবং যখনই সুযোগ পেয়েছে, তখনই সেরা শিক্ষকদের নিয়ে এসেছে। কোনো ধরনের আপস করেনি। আমাদের শিক্ষকদের একটি বড় অংশ পিএইচডি ডিগ্রিধারী। যা অন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। এখানে ছাত্র শিক্ষক অনুপাতও অনেক ভালো।

অধ্যাপক ড. মুসা বলছেন, আমরা সবসময়ই আমাদের সিলেবাস হালনাগাদ করে থাকি। এর ফলে আমাদের শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন বিষয়গুলো শেখার সুযোগ পান। শিক্ষার সর্বোচ্চ সুযোগ আমরা শিক্ষার্থীদের দিতে কাজ করছি এবং সেটি সম্ভব হচ্ছে। এখানে যেসব বিষয়ে আমরা পাঠদান করছি, এসব বিষয়ে শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পর সহজেই চাকরিতে নেতৃত্ব দিতে পারবে। এর বাইরে আমাদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে চুক্তি করছি, ফলে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পরপরই আমাদের শিক্ষার্থীরা সহজে চাকরির বাজারে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন।