রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলে স্টামফোর্ডের সাগর
রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পেলেন বাংলাদেশের বেসরকারি স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী হোসাইন মোহাম্মাদ সাগর। শুক্রবার (১৫ মার্চ) থেকে রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে এবং এটি চলবে আগামী রবিবার পর্যন্ত। সেখানে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হোসাইন মোহাম্মাদ সাগর ‘ইন্টারন্যাশনাল এক্সপার্ট’ হিসেবে পুরো নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
সাগরের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার আমলায়। মা মোছা. মাহফুজা বেগম মারা যাওয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাবা মো. সামসুল হক। তিনি স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক পাশ করেন। বর্তমানে তিনি বাংলানিউজটুয়েন্টিফোরে প্রতিবেদক হিসেবে আছেন।
এ বিষয়ে সাগর বলেন, বৃহস্পতিবার আমাকে এ সংক্রান্ত তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এর আগে রাশিয়ার নির্বাচন কমিশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ এবং জাদাত এই বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়া এই টিমে বাংলাদেশের প্রকৌশলী হাসান ইমামসহ আরও অনেকে রয়েছেন। এরপর আমাদের টিমসহ আমরা একটি নির্বাচনি বুথ ঘুরে দেখি এবং একটি সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা আশা করছি।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবারের নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছেন। দেশের সব ভোটারকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে জয়ী হলে পঞ্চমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হবেন তিনি এবং সেক্ষেত্রে তার ক্ষমতার মেয়াদ ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়বে।
আরও পড়ুন: ৫৪ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পকেটে বার্ষিক উদ্বৃত্ত ১২৫০ কোটি টাকা
সেই সঙ্গে রাশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে প্রেসিডেন্ট পদে থাকার রেকর্ডটিও তার হয়ে যাবে। বর্তমানে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে থাকার রেকর্ডের মালিক জোসেফ স্তালিন এবং লিওনিদ ব্রেজনেভ। সাবেক সোভিয়েত আমলে দু’জনেই ২৪ বছর করে ক্ষমতায় ছিলেন। ৭১ বছর বয়সী পুতিন যদি ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেন, তাহলে তার ক্ষমতার মোট মেয়াদকাল পৌঁছাবে ৩০ বছরে।
এবারের নির্বাচনে পুতিনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বেশ কয়েকজন প্রার্থী। তারা হচ্ছেন- ডানপন্থি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপিআর) প্রধান লিওনিড স্লুটস্কি, কমিউনিস্ট প্রার্থী নিকোলে খারিতোনভ এবং উদার মধ্যপন্থি নিউ পিপলের প্রতিনিধিত্বকারী ভ্লাদিস্লাভ দাভানকভ।
তবে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অভিযানের বিরোধিতা করার কারণে দুই রুশ প্রার্থীকে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারা হলেন- বরিস নাদেজদিন এবং ইয়েকাতেরিনা দান্তসোভা।